ওমিক্রন নিয়ে কিছুটা স্বস্তির ইঙ্গিত দিলো নতুন দুই গবেষণা

ডেস্ক প্রতিবেদন, ধূমকেতু বাংলা: করোনাভাইরাসের নতুন ধরন নিয়ে কিছুটা স্বস্তিদায়ক ইঙ্গিত মিলেছে দুটি ব্রিটিশ গবেষণায়। ওমিক্রন নিয়ে চালানো এই দুই গবেষণায় প্রাথমিকভাবে ইঙ্গিত মিলেছে যে, এটি ডেল্টা ধরন থেকে সম্ভবত মৃদু।

যদিও বিজ্ঞানীরা জোর দিয়ে বলেছেন, আগের কয়েকটি গবেষণার মতো এই দুই প্রাথমিক গবেষণায়ও ধরনটির মৃদুতার বিষয়টি বহাল আছে। তবে তীব্রতা হ্রাসের বিপরীতে ডেল্টার চেয়ে এর অতিসংক্রামক প্রবণতার বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে। এমনকি টিকাকে পরাস্ত করার ক্ষেত্রেও এটি ডেল্টার চেয়ে বেশি সক্ষম। আর রোগের তীব্রতা মৃদু হলেও অতিসংক্রামক হওয়ার ফলে এটি হাসপাতালের ওপর চাপ তৈরি করতে পারে। খবর আল-জাজিরার।

বুধবার প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদন দুটির গবেষক ভ্যানডারবিল্ট ইউনিভার্সিটির বায়োকেমিস্ট ম্যানুয়েল অ্যাসক্যানো জুনিয়র বলেন, ওমিক্রন নিয়ে বুধবার প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন দুটিকেও খুব প্রারম্ভিক গবেষণা মনে করা হচ্ছে এবং এখনো মনে হচ্ছে এটি ডেল্টার চেয়ে কম ক্ষতিকর।

লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের কোভিড-১৯ রেসপন্স টিম ইংল্যান্ডে ওমিক্রনে গুরুতর অসুস্থতার বিষয়ে বা হসপিটালাইজেশন ঝুঁকি নিয়ে একটি বিশ্লেষণ করেছে। যেখানে দেখা গেছে, ডেল্টার চেয়ে ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেওয়ার হার ২০ শতাংশ কম। আর এক রাত বা তার চেয়ে বেশি সময়ের জন্য হাসপাতালে রাখার ক্ষেত্রে এই হার ৪০ শতাংশ কম।

এসব স্বস্তির খবরের মধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস সতর্ক করে বলেছেন, সম্পদশালী দেশগুলোর টিকার বাড়তি ডোজ দেওয়ার হিড়িক টিকা পাওয়ার বৈষম্যকে আর গভীর করে তুলছে এবং তা মহামারিকে দীর্ঘায়িত করছে। কোনো দেশই মহামারি থেকে বের হওয়ার পথ ত্বরান্বিত করতে পারে না।

আরো পড়ুন:

মহামারি বিশ্বকে যে সাত শিক্ষা দিল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *