প্রচ্ছদ

এ বার চাঁদে পা রাখবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিল মেনন

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: চাঁদে, মঙ্গলে বা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে মহাকাশচারী হয়ে যাওয়ার জন্য ১২ হাজারেরও বেশি আবেদনকারীর মধ্যে সোমবার ১০ জনকে বেছে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে নাসা। তাদেরই অন্যতম— অনিল মেনন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত। নাসার মহাকাশচারী হিসাবে এখন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে রয়েছেন আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত।

নতুন যে ১০ জন মহাকাশচারীকে চাঁদে, মঙ্গলে বা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছে নাসা তাদের মধ্যে রয়েছেন চার জন মহিলাও। রয়েছেন আমেরিকার বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানের পাইলট, চিকিৎসক, পদার্থবিজ্ঞানী, এমনকি সাইক্লিস্টও। আগামী জানুয়ারি থেকেই নাসায় শুরু হবে তাদের পুরোদস্তুর প্রশিক্ষণ।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিল মেনন আগে ছিলেন আমেরিকার বিমানবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল। আদতে শল্য চিকিৎসক। ২০১৮-য় নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর এলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্স-এর প্রথম ফ্লাইট সার্জেন হন অনিল। মহাকাশে মানুষ পাঠানোর জন্য স্পেস এক্স পরীক্ষামূলক ভাবে যে ডেমো-২ মিশন চালিয়েছিল, তার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন অনিল। তার আগে নাসার বিভিন্ন মহাকাশ অভিযানে মহাকাশচারীদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা ও জরুরি অস্ত্রোপচারের দায়িত্বও ছিল অনিলের কাঁধে।

অনিলের বাবা ভারতীয়, মা ইউক্রেনের। তবে অনিলের জন্ম, বেড়ে, গড়ে ওঠা আমেরিকাতেই। অনিল দু’-তিন বছর আগেই ভারতে এসেছেন পোলিও টিকাকরণের কাজে, গবেষণায়। রোটারি অ্যামবাসাডোরিয়াল স্কলার হিসাবে ভারতে ওই সময় টানা এক বছর কাটিয়ে যান অনিল। মাউন্ট এভারেস্টে হিমালয়ান রেসকিউ অ্যাসোসিয়েশনের হয়ে পর্বতারোহীদের চিকিৎসার জন্য নেপালেও কিছু দিন ছিলেন অনিল। পরে ২০১৫-য় নেপালে তিনি ফের যান বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পরে। উদ্ধারকাজ ও দুর্গতদের চিকিৎসার জন্য। আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের তরফে।

অনিলের মা ও বাবা দু’জনেই আমেরিকায় যান অভিবাসী হিসাবে। সাতের দশকের গোড়ার দিকে। আশ্রয় নেন মিনেসোটায়। সেখানকার মিনিয়াপোলিসে জন্ম হয় অনিলের। ১৯৭৮ সালে। ৪৩ বছর বয়সি অনিলের স্ত্রী আন্নাও কাজ করেন স্পেস এক্স-এ। অনিলের দু’টি সন্তান।

মিনেসোটার সেন্ট পল অ্যাকাডেমি ও সামিট স্কুলে পড়াশোনার পর অনিল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিউরোবায়োলজি নিয়ে স্নাতক হন ১৯৯৯-এ। তার পর স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। বিষয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। পিএইচডি করেন স্ট্যানফোর্ড মেডিক্যাল স্কুলে, ২০০৬ সালে।

আরো পড়ুন:

প্রায় ৬০ বছর আগের পোস্টারে ‘ওমিক্রন’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *