এবারের ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠানে যা যা থাকছে
এবারের ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠানে যা যা থাকছে তা নিয়েই আজকের আলোচনা।
দেশের অন্যতম একটি জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান হচ্ছে ‘ইত্যাদি’। এই অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তা যেন কখনোই কমেনি, উল্টা বেড়েছে। ‘ইত্যাদি’ প্রচার শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা এক সঙ্গে বসে পড়েন অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য। এ জানবো এক অন্যরকম আনন্দ।
খ্যাতিমান উপস্থাপক হানিফ সংকেতের উপস্থাপনায় দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে ‘ইত্যাদি’। সঙ্গে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রচারবিমুখ ও জনকল্যাণে নিয়োজিত মানুষদের তুলে ধরা হয় এই অনুষ্ঠানে। জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানটি ৩৪ বছরে পা দিচ্ছে এবার।
এবারের আসরের পর্ব ধারণ করা হয়েছে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানের অভ্যন্তরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক ডাকবাংলোর সামনে।
ডিসেম্বর মাসের ১১ তারিখে ঐতিহাসিক বাংলোর সামনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক দর্শক নিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে ধারণ করা হয় ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠানটি।
স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনায় রেখে সকল দর্শককেই ইত্যাদির বিশেষ মাস্ক দেয়া হয়েছে। ম্যানেজার বাংলোর সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে নির্মিত আলোকিত মঞ্চে ইত্যাদির এই ধারণ অনুষ্ঠান চলে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত।
এবারের ‘ইত্যাদি’তে রয়েছে দুটি গান। মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের লেখা ও ইবরার টিপুর সুরে একটি দেশাত্মবোধক গান দ্বৈতকণ্ঠে গেয়েছেন শিল্পী সামিনা চৌধুরী ও ফাহমিদা নবী আমাদের মহান বিজয় আনতে বাংলাদেশের লাখো সন্তান দিয়ে গেছে প্রাণ, তাদের স্মরণে গান গাইবে তারা।
হবিগঞ্জের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের পরিচিতিমূলক আর একটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছে স্থানীয় শতাধিক নৃত্যশিল্পী। গানটির কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সংগীতায়োজন করেছেন নাভেদ পারভেজ, কণ্ঠ দিয়েছেন রিয়াদ ও তানজিনা রুমা। নৃত্য পরিচালনা করেছেন মনিরুল ইসলাম মুকুল।