জাতীয়সর্বশেষ

এক চুলা গ্যাসের দাম ২ হাজার টাকা করার প্রস্তাব

এক চুলা গ্যাসের দাম ২ হাজার টাকা করার প্রস্তাব

দেশে গ্রাহক পর্যায়ে এক চুলা গ্যাসের দাম ২ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবে বাসাবাড়ির দুই চুলার মাসিক বিল হবে দুই হাজার ১০০ টাকা, যা এখন ৯৭৫ টাকা। অন্যদিকে এক চুলার মাসিক বিল হবে দুই হাজার টাকা, যা বর্তমানে ৯২৫ টাকা।

এছাড়াও শিল্পখাতে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২৩ টাকা ২৪ পয়সা এবং ক্যাপটিভে (শিল্পকারখানায় নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহূত গ্যাস) ১৩ টাকা ৮৫ পয়সার স্থলে ৩০ টাকা করার প্রস্তাব করেছে একাধিক বিতরণ কোম্পানি।

গত সপ্তাহে তিতাস, বাখরাবাদ ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) পৃথকভাবে এই প্রস্তাব জমা দিয়েছে। এ সপ্তাহে অন্য কোম্পানিগুলো তাদের প্রস্তাব জমা দেবে। পেট্রোবাংলা সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।

‘ভর্তুকির চাপ’ সামলাতে গত মাসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল। এরপর ৩ জানুয়ারি জ্বালানি বিভাগ গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব বিইআরসিতে পাঠানোর জন্য পেট্রোবাংলাকে নির্দেশনা দেয়।

পরে পেট্রোবাংলা থেকে আমদানি করা এলএনজি ও দেশীয় গ্যাসের দাম, ভ্যাট-ট্যাক্স, বিভিন্ন তহবিলের চার্জ ধরে একটা খসড়া হিসাব বিতরণ কোম্পানিগুলোতে ৫ জানুয়ারি পাঠানো হয়। এরপর বিতরণ কোম্পানিগুলো নিজেদের আয়-ব্যয় হিসাব উল্লেখ করে প্রায় একই ধরনের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব কমিশনে পাঠায়। একই সঙ্গে কোম্পানিগুলো নিজেদের পরিচালন ব্যয় (মার্জিন) বৃদ্ধিরও প্রস্তাব দিয়েছে।

কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব বিশ্নেষণ করে দেখা গেছে, বিদ্যুৎ ও সারে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটার ৪ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৯ টাকা ৬৬ পয়সা থেকে ১০ টাকা (১২৫ শতাংশ) করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শিল্পে ব্যবহৃত ক্যাপটিভে দাম ১৩ টাকা ৮৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা (১১৬ শতাংশ) এবং শিল্পে ও চা বাগানে ১০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ২৩ টাকা ২৪ পয়সা (১১৬ শতাংশ) করার প্রস্তাব এসেছে।

হোটেল-রেস্টুরেন্টে ২৩ টাকা থেকে ৫০ টাকা (১১৭ শতাংশ), ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ১৭ টাকা ৪ পয়সা থেকে ৩৭ টাকা ২ পয়সা (১১৭ শতাংশ), সিএনজিতে ৩৫ টাকা থেকে ৭৫-৭৬ টাকা (১১৪ শতাংশ) এবং আবাসিক মিটারে ১২ টাকা ৬০২ পয়সা থেকে ২৭ টাকা ৩৭ পয়সা (১১৫ শতাংশ) করার প্রস্তাব দিয়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। একই সঙ্গে তিতাস তার পরিচালন মার্জিন ২৫ পয়সা থেকে বড়িয়ে ৩৮ পয়সা, জালালাবাদ ৫৫.১৮ পয়সা এবং বাখরাবাদ ২৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৬.৮৪ পয়সা করার আবেদন করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *