ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: সবকিছু ভার্চ্যুয়াল হয়ে যাচ্ছে বলে যে কথা আমরা প্রায়ই বলি, তা একদম ভুল নয়। এবার এক‘খণ্ড’ ভার্চ্যুয়াল জমি ৯ লাখ ডলারে বিক্রি হওয়ার খবর মিলেছে। ‘ডিসেন্ট্রাল্যান্ড’ নামের ভার্চ্যুয়াল জগতে ব্লকচেইন প্রযুক্তিনির্ভর জমিটি রেকর্ড মূল্যে বিক্রি হয় গত বৃহস্পতিবার।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিসেন্ট্রাল্যান্ডে ভার্চ্যুয়াল জমির মালিকানা বদল হয় নন-ফানজিবল টোকেন (এনএফটি) হিসেবে। এটা অনেকটা সনদের মতো। ডিজিটাল কনটেন্টের মালিকানার সনদ বলা যেতে পারে। সেই কনটেন্ট কোনো ভাইরাল ভিডিও হতে পারে, আবার ডিজিটাল চিত্রকর্মও হতে পারে। যেন একটি স্মারক, কিংবা বিখ্যাত শিল্পীর আঁকা দুর্লভ চিত্রকর্মের মতো সংগ্রহে রাখার যোগ্য কিছু।
টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাঁর প্রথম টুইট বিক্রি করেছেন এনএফটি হিসেবে। কিছুদিন আগে এভাবে ৫৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বিক্রি হয় প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকায়। আর এখন আমরা দেখলাম ভার্চ্যুয়াল জমিও এনএফটি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
স্বাভাবিক কারণেই সেই ভার্চ্যুয়াল জমিতে না হবে চাষবাস, না বানানো যাবে বাড়ি। তবে মালিকানার বদল হতে পারে। আর মালিকানার স্বত্ব লিপিবদ্ধ থাকে ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে। এটা তথ্য লিপিবদ্ধ হয় এমন প্রযুক্তিতে, যা সহজে পরিবর্তন করা বা মোছা যায় না। ডিজিটাল খতিয়ান বলতে পারেন।
ডিসেন্ট্রাল্যান্ড ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, রিপাবলিক রিয়ালম নামের একটি বিনিয়োগ তহবিল তাদের ভার্চ্যুয়াল জমি কিনেছে। রিপাবলিক নামের মার্কিন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগের জন্য এই তহবিল গঠন করে। এখন পর্যন্ত ভার্চ্যুয়াল জমি বিক্রির এটিই সর্বোচ্চ দাম।
স্যান্ডবক্স’ নামের ব্লকচেইননির্ভর আরেকটি ভার্চ্যুয়াল জগতে চলতি মাসের শুরুতেই সাড়ে ৬ লাখ ডলারে বিক্রি হয় আরেকটি ভার্চ্যুয়াল জমি। রয়টার্স জানিয়েছে, ডিসেন্ট্রাল্যান্ডের ভার্চ্যুয়াল জমিটি ২৫৯টি ইউনিট বা ‘পার্সেলের’ সমন্বয়ে তৈরি। আকারে সেটি ৬৬ হাজার ৩০৪ ভার্চ্যুয়াল বর্গমিটার বা ১৬ ভার্চ্যুয়াল একর।
জমিটির দাম পড়েছে ১ হাজার ২৯৫ মানা। মানা হলো বিটকয়েনের মতো ডিসেন্ট্রাল্যান্ডের নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা। বিক্রির সময় ১ হাজার ২৯৫ মানার মার্কিন ডলারে বিনিময় মূল্য ছিল ৯ লাখ ১৩ হাজার ২২৮ দশমিক ২ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় তা ৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকার আশপাশে।