স্বাস্থ্য

এই সময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর হলে কী করবেন

স্বাস্থ্য প্রতিবেদক: আবহাওয়ার পরিবর্তনের এই সময়ে জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। যদিও প্রতিবছরই এরকম পরিস্থিতিতে এই রোগগুলো দেখা দেয়। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। জ্বর, সর্দি, কাশি হলেই মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময় ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাল হওয়া খুবই সাধারণ।

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মহামারি চলছে, সেজন্য সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে অনেকে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাল জ্বর সাধারণত দুই থেকে তিনদিনের মধ্যেই সেরে যায়। খুব বেশি হলে সারতে চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগে। আর এই জ্বরের পর শারীরিক দুর্বলতা সেরে উঠতে সময় লাগে কয়েকদিন। এ অবস্থায় বাড়িতে অবস্থান করে চিকিৎসা নেয়াই ভালো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বলছে, মৌসুমি ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে হঠাৎ জ্বর, শুষ্ক কাশি, মাথাব্যথা, মাংসপেশীতে ব্যথা হতে পারে। এছাড়া হতে পারে গলাব্যথা এবং সর্দি। এক্ষেত্রে কফ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে এবং এই অবস্থা দুই সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে। তবে অধিকাংশ মানুষই কোনো চিকিৎসা ছাড়াই সপ্তাহ খানেকের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন বলে জানান ডব্লিউএইচও।

ভাইরাল জ্বরের কয়েকটি সাধারণ উপসর্গ-

১. আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে হালকা থেকে মাঝারি জ্বর ও গা ম্যাজম্যাজে করে।

২. সামান্য সর্দি ভাব, কখনও কখনও আবার নাক দিয়ে পানি পড়ে।

৩. এইসব কিছুর সঙ্গে হাঁচি এবং হালকা কাশিও থাকে।

৪. সারা গায়ে ব্যথা দেখা দেয়।

ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করুন। যেমন-

১. আক্রান্তদের থেকে দূরে থাকুন। যদি ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেন, তবে মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন।

২. যাদের বিভিন্ন কঠিন রোগ যেমন- হার্টের সমস্যা, ফুসফুস, কিডনি বা লিভারের সমস্যা ও হাঁপানির সমস্যা আছে, তারা এই সময়ে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন।

৩. বয়স্ক এবং প্রসূতিরাও নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন। সেই সঙ্গে নিজেরদের যত্ন নিন।

৪. ধুলোবালি থেকে দূরে থাকুন।

৫. হাত না ধুয়ে চোখে, নাকে এবং মুখে হাত দেবেন না।

৬. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। নিজেরা পরিষ্কার থাকার পাশাপাশি নিজের বাসস্থান ও তার চারিদিক পরিষ্কার রাখুন।

ইনফ্লুয়েঞ্জাতে আক্রান্ত হলে যে বিষয়গুলো মেনে চলবেন-

১. চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খান এবং সঠিক চিকিৎসা করুন।

২ দুর্বল ভাব দূর করার জন্য মাল্টি-ভিটামিন খেতে পারেন।

৩. দিনে তিন থেকে চার বার গরম পানির ভাপ নিন এবং কুলকুচি করুন।

৪. হালকা ও স্যুপ জাতীয় তরল খাবার খাবেন।

৫. প্রচুর পরিমাণ পানি বা ফলের রস পান করুন। এর মাধ্যমে পানিশূন্যতা রোধ করলে ঠাণ্ডা থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যেতে পারে।

৫. জ্বর হলে নিজে আলাদা ঘরে থাকুন, বাড়ির অন্যান্য সদস্যের সংস্পর্শে আসবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *