খোকন কুমার রায়:
“ধিক্ তারে, শত ধিক্
ঋণ খেলাপী যে জন,
এ দেশ লুটে, ওদেশ গড়ে
অতি বদ সে জন”
সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘদিন যাবৎ চলে আসছে ঋণ খেলাপের অপসংস্কৃতি। চিহ্নিত খেলাপীরাই আবার ঋণ চায়। এরা জাত ব্যবসায়ী ও রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎকারী। এরা এপার ভেঙ্গে ওপার গড়ে।
আমরা অনেকেই চিনি এই শ্রেণীটাকে। এদের মধ্যে অনেকেই আমাদের বিপুল সম্পদ পাচার করে বিদেশে পাপের সাম্রাজ্য গড়ে নিজেরাও পাচার হয়ে গেছেন। আর যাদের এখনো ক্ষুধা মিটেনি তারাও ধান্ধায় আছেন কিভাবে আরো লুটপাট করে পাপের সাম্রাজ্য বাড়ানো যায়। সামনে সুবর্ণ সুযোগ! সরকার বিশাল অংকের প্রণোদনা বাজেট ঘোষণা করেছেন। এই প্রণোদনা থেকে আরো কিছু অর্থ যদি এদের ‘প্রমোদতরীতে’ নিতে পারে তাহলে আমোদ আরো বৃদ্ধি পায়। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হোক, মানুষগুলো না খেয়ে মরুক, এদের কিচ্ছু আসে যায় না তাতে।
এই শ্রেণীটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখাই সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। কারণ, এরা দলে এতটাই ভারী এবং ক্ষমতাশালী যে রাষ্ট্রযন্ত্রও বোধ করি অনেক ক্ষেত্রে অসহায়। তা না হলে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে দিব্যি দেশে-বিদেশে কিভাবে আরাম-আয়েশে দিন যাপন করছে?
সময় এসেছে এদেরকে আমোদিত না করে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও সৎ ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দেয়ার। যাতে এ সংকট-পরবর্তী সময়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশ দেখতে পারি, কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বন করে দিতে পারি।
সময় এসেছে এই ঋণ খেলাপীর দুষ্ট বলয় হতে মুক্ত হবার। আর এই দুঃসময়ে যদি মুক্ত হতে না পারি তাহলে কঠিন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি দেখতে হতে পারে সামনে।
অতীতে আমরা দেখেছি, ব্যাংক ঋণের টাকা যারা এ দেশে হজম করতে পারে তারা তৎপর আরো ঋণ নেবার জন্য। আর যাদের বদহজমের সম্ভাবনা ছিল তারা পালিয়ে বিদেশে বসে হজম করছে। এ দুষ্ট ব্যক্তিবর্গ পূর্ববর্তী খেলাপী ঋণের বিপরীতে কিছু টাকা দিয়ে তা নিয়মিত করে যেন প্রণোদনা তহবিলে ভাগ বসাতে না পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
কাজেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা বাজেট দ্বারা আমরা কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতী মানুষের উদ্দীপনা দেখতে চাই, ঋণ খেলাপীদের উদ্দীপনা নয়।
বর্তমান করোনা বিপর্যয়কালে জননেত্রীর এই সাহসী প্রণোদনা বরাদ্দ সঠিক মানুষদের হাতে গিয়ে জীবন উন্নয়নে ব্যয় হোক, আর জীবনের জয়গান বেজে উঠুক- এটাই প্রত্যাশা।
জয় হোক বাংলার কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতী মানুষের।
লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক, ধূমকেতু.কম।
“ধিক্ তারে, শত ধিক্
ঋণ খেলাপী যে জন,
এ দেশ লুটে, ওদেশ গড়ে
অতি বদ সে জন”
সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘদিন যাবৎ চলে আসছে ঋণ খেলাপের অপসংস্কৃতি। চিহ্নিত খেলাপীরাই আবার ঋণ চায়। এরা জাত ব্যবসায়ী ও রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎকারী। এরা এপার ভেঙ্গে ওপার গড়ে।
আমরা অনেকেই চিনি এই শ্রেণীটাকে। এদের মধ্যে অনেকেই আমাদের বিপুল সম্পদ পাচার করে বিদেশে পাপের সাম্রাজ্য গড়ে নিজেরাও পাচার হয়ে গেছেন। আর যাদের এখনো ক্ষুধা মিটেনি তারাও ধান্ধায় আছেন কিভাবে আরো লুটপাট করে পাপের সাম্রাজ্য বাড়ানো যায়। সামনে সুবর্ণ সুযোগ! সরকার বিশাল অংকের প্রণোদনা বাজেট ঘোষণা করেছেন। এই প্রণোদনা থেকে আরো কিছু অর্থ যদি এদের ‘প্রমোদতরীতে’ নিতে পারে তাহলে আমোদ আরো বৃদ্ধি পায়। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হোক, মানুষগুলো না খেয়ে মরুক, এদের কিচ্ছু আসে যায় না তাতে।
এই শ্রেণীটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখাই সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। কারণ, এরা দলে এতটাই ভারী এবং ক্ষমতাশালী যে রাষ্ট্রযন্ত্রও বোধ করি অনেক ক্ষেত্রে অসহায়। তা না হলে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে দিব্যি দেশে-বিদেশে কিভাবে আরাম-আয়েশে দিন যাপন করছে?
সময় এসেছে এদেরকে আমোদিত না করে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও সৎ ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দেয়ার। যাতে এ সংকট-পরবর্তী সময়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশ দেখতে পারি, কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বন করে দিতে পারি।
সময় এসেছে এই ঋণ খেলাপীর দুষ্ট বলয় হতে মুক্ত হবার। আর এই দুঃসময়ে যদি মুক্ত হতে না পারি তাহলে কঠিন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি দেখতে হতে পারে সামনে।
অতীতে আমরা দেখেছি, ব্যাংক ঋণের টাকা যারা এ দেশে হজম করতে পারে তারা তৎপর আরো ঋণ নেবার জন্য। আর যাদের বদহজমের সম্ভাবনা ছিল তারা পালিয়ে বিদেশে বসে হজম করছে। এ দুষ্ট ব্যক্তিবর্গ পূর্ববর্তী খেলাপী ঋণের বিপরীতে কিছু টাকা দিয়ে তা নিয়মিত করে যেন প্রণোদনা তহবিলে ভাগ বসাতে না পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
কাজেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা বাজেট দ্বারা আমরা কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতী মানুষের উদ্দীপনা দেখতে চাই, ঋণ খেলাপীদের উদ্দীপনা নয়।
বর্তমান করোনা বিপর্যয়কালে জননেত্রীর এই সাহসী প্রণোদনা বরাদ্দ সঠিক মানুষদের হাতে গিয়ে জীবন উন্নয়নে ব্যয় হোক, আর জীবনের জয়গান বেজে উঠুক- এটাই প্রত্যাশা।
জয় হোক বাংলার কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতী মানুষের।
লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক, ধূমকেতু.কম।