উসাইন বোল্টের আইপিয়েল প্রস্তুতি
অলিম্পিকের ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডে ১০ থেকে ২০ সেকেন্ডের মধ্যেই একের পর এক অসাধারণ কীর্তি গড়ে দেখিয়েছেন উসাইন বোল্ট। এজন্য সে লাইটনিং নামে পরিচিত। ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্ট দিয়ে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হলেও ফুটবল-ক্রিকেটেও বেশ আগ্রহ রয়েছে জ্যামাইকার সুপারস্টারের।
গত কয়েকবছরে বেশ কয়েকবার ইংল্যান্ডে প্রদর্শনীমূলক ফুটবল ও ক্রিকেট খেলতে দেখা গেছে বোল্টকে। এমনকি মাঝে এমনটাও শোনা গেছে, ক্যারিবীয় অঞ্চলের ঘরোয়া ক্রিকেটে নাম দিতে চাচ্ছেন এই দ্রুততম মানব। তা হয়নি। তবে বোল্টের সঙ্গে যেকোনো সাক্ষাৎকারেই উঠে আসে ক্রিকেটের কথা।
যেমনটা হলো ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের লিডারশিপ সামিটে। ভারতের প্রখ্যাত ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ইতিহাসবিদ আয়াজ মেননের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মজার ছলেই আইপিএলে খেলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন বোল্ট। আয়াজ মেননের প্রশ্নের জবাবেই হাসি মুখে বলেছেন আইপিএল খেলার কথা। সে খুব আগ্রহী!
বোল্টকে জিজ্ঞেস করেছিলো তিনি আইপিএল খেলতে কতটা আগ্রহী? সামনেই আইপিএলের মেগা নিলাম। দুইটি নতুন দলও যোগ দিয়েছে ২০২২ আইপিএলে। বোল্ট কতটা আগ্রহী এই নিলামে অংশ নিতে? উত্তরে বোল্ট বলেছেন, ‘অবশ্যই আমি খেলতে চাই। আমি ট্রেনিং শুরু করে ফিট হতে চাই। তারপর নিজেকে তৈরি করে নেবো আইপিএলের জন্য।’
এসময় ক্রিকেটের সঙ্গে নিজের দীর্ঘসূত্রতার কথাও জানান বোল্ট। মূলত তার শুরুটা ছিল ক্রিকেট দিয়েই। সেখান থেকে ক্রিকেট কোচের পরামর্শেই ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডে নাম লেখান তিনি। জ্যামাইকায় যখন ক্রিকেট ও ফুটবলের উন্মাদনা, তখন স্প্রিন্টিং দিয়েই বিশ্বসেরা হয়েছে বোল্ট। এক কথায় সে মাল্টি ট্যালেন্টেড একটা মানুষ!
তার ভাষ্য, ‘আমকে ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডে আনেন আমার ক্রিকেট কোচ। ছোটবেলায় তখন দেশে দুইটি প্রধান খেলা ছিল ক্রিকেট ও ফুটবল। বাবা ছিলেন মারাত্মক ক্রিকেটের ভক্ত। জ্যামাইকায় আবার ফুটবল নিয়েও উন্মাদনা ছিল। আমি আবার ক্রিকেট খুব ভালোবাসতাম। ক্রিকেটার হতে চাইতাম।’
‘কিন্তু আমার ক্রিকেট কোচ লক্ষ্য করেন, ফাস্ট বল করার সময় আমি খুব জোরে দৌড়ই। তখন ক্রিকেট কোচ বলেন, তোমার ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডে যাওয়া উচিত। অবশ্য শুরুর দিকে ক্রিকেট থেকে বেরিয়ে ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডে মানিয়ে নিতে অনেকটা সময় লেগেছিল।’