ধূমকেতু প্রতিবেদক: লকাডাউন শিথিল হওয়ার পর চিন্তা ছিল করোনা আক্রান্ত উপসর্গহীন ব্যক্তিদের নিয়ে। তারাই সবথেকে বেশি সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বলছে উল্টো কথা। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে হু-র ইমার্জিং ডিজিজ বিভাগের প্রধান মারিয়া ভন কেরখভ বলেন, “পরিসংখ্যান বলছে, যারা করোনা পজেটিভ কিন্তু উপসর্গ নেই এ ধরনের অ্যাসিম্পটমেটিক ব্যক্তিদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ায় না বললেই চলে। আর যদি ছড়ায় তা বিরল ঘটনা।” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, উপসর্গহীনদের নিয়ে খুব বেশি চিন্তা না করে এখন উপসর্গ দেখা দেয়া রোগীদের শনাক্ত করে আলাদা রাখাটাই গুরুত্বপূর্ণ।
তবে মারিয়া ভন জোর দিয়ে এ কথা বললেও তার মতে, কয়েকটি দেশের পরিসংখ্যান ও তথ্য থেকে এমন ধারণা করা হচ্ছে। সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। প্রয়োজন এ বিষয়ে আরও গবেষণা।
হু-র এই তত্ত্ব ধরে চললে কিন্তু লকডাউনের বিধিনিষেধ পাল্টে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মারিয়া জানিয়েছেন, এখন প্রয়োজন উপসর্গ আছে এমন করোনা পজেটিভ ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইসোলেশনে রাখা। শুধুমাত্র উপসর্গ আছে এমন ব্যক্তিরাই সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম।
উপসর্গহীনদের থেকে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কার কথা অনেক আগেই জানিয়েছিল আমেরিকা ও ব্রিটেনের মতো দেশগুলি। তারা বলেছিল, এমন আক্রান্তরা আসলে করোনার বাহক। তাদের মাধ্যমে রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু হু এদিন ফের জানিয়ে দিয়েছে, করোনার মতো মহামারী ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে উপসর্গহীনদের ভূমিকা সামান্যই। সংস্থাটির মতে, তা মাত্র ৬ শতাংশ।
কোন জায়গায় করোনার মতো রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছে হু। গত কয়েক মাস ধরেই তারা বলে আসছে, বাড়ি, অফিস, চার্চ, হাসপাতালের মতো জায়গা, যেখানে বহু মানুষ একসঙ্গে রয়েছেন, যেখানে বাতাস বদ্ধ সেখানে নিকট সংস্পর্শের মাধ্যমে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।