বিনোদনসর্বশেষ

উত্তেজিত হয়ে সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চলে এসেছি : জায়েদ খান

‘এই সেতু উদ্বোধন হবে বলে আমি উত্তেজিত হয়ে পিরোজপুর চলে এসেছি। বড় আবেগের নদী এই কচা নদী, এখানে আমার বহু শৈশব স্মৃতি রয়েছে। ’

মঙ্গলবার দুপুরে কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই বলছিলেন অভিনেতা জায়েদ খান। বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের কচা নদীর ওপর বেকুটিয়া পয়েন্টে নির্মিত ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সেতু’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পিরোজপুরে যান জায়েদ খান।

প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, ‘এই সেতু আমার বাড়ি থেকে ৫ মিনিট দূরত্বে। আমরা ছোটবেলায় নদীর একটা ফেরি ধরতে কত কষ্ট করেছি। আগেভাগে গিয়ে নদীতে অপেক্ষা করতে হতো, ফেরি এলে তারপর উঠতাম। বরিশাল যেতে আমাদের কত সময় লাগত। এখন এই সেতু মাত্র দুই মিনিতে পার হতে পারি। বরিশাল যেতে পারছি মাত্র এক ঘণ্টায়। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই, তার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। ’

এই সেতুর ফলে খুলনা ও বরিশালের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হয়েছে যার ফলে বাণিজ্যিকভাবে উপকৃত হবে পিরোজপুর জেলাবাসী- এমনটাই মনে করছেন জায়েদ খান। তিনি বলছেন, ‘এই সেতু হওয়ার ফলে পিরোজপুরের পেয়ারা ও সবজি দ্রুত ঢাকা পৌঁছবে। বরিশাল ও খুলনার সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।

জায়েদ খান এই সেতুকে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের কাছে সত্যি এই সেতুটি দ্বিতীয় পদ্মা সেতু। আমরা যারা এই নদী নিয়মিত পার হতাম আমরা জানি এই সেতুর আবেগ। এটি আমাদের অঞ্চলের সত্যিই দ্বিতীয় পদ্মা সেতু। আমি এ জন্যই সেতু উদ্বোধন উত্তেজিত হয়ে পিরোজপুর চলে এসেছি। ’

রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০১৩ সালের ১৯ মার্চ পিরোজপুরের এক জনসভায় কচা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন তিনি।   চায়নিজ মেজর ব্রিজ রিকনসেন্স অ্যান্ড ডিজাইন ইনস্টিটিউট কম্পানি লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে চায়না রেল ওয়াচ ১৭ ব্যুরো গ্রুপ কম্পানি লিমিটেড সেতুটি নির্মাণ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *