প্রচ্ছদ

উত্তেজনার মধ্যেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন বাইডেন-জিনপিং

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পারস্পরিক তিক্ততা দূর করতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছেন । ক্ষমতা গ্রহণের পর শি জিনপিংয়ের সঙ্গে এবারই প্রথম বৈঠকে বসলেন জো বাইডেন। গতকাল সোমবার (১৫ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ৮টায় বহুল আকাঙ্ক্ষিত এই বৈঠকটি ভার্চ্যুয়ালি শুরু হয়। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক পোস্ট।

জানা যায়, উভয় নেতা এমন এক সময়ে এই বৈঠকে বসলেন যখন তাইওয়ান, হংকং এবং উইঘুরদের সঙ্গে বেইজিংয়ের আচরণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে।

শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় বাইডেন বলেন, ‘ইচ্ছাকৃত হোক বা অনিচ্ছাকৃত ভাবেই হোক না কেন, দেশগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা আছে। তবে এই পরিস্থিতি যেন সংঘর্ষের দিকে না যায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য আমাদের অবশ্যই ‘গার্ডেল’ তৈরি করতে হবে।’

অন্যদিকে বেইজিং থেকে শি জিনপিং বলেন, বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে উভয় দেশ। তিনি প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে নিজের পুরোনো বন্ধু বলে আখ্যায়িত করেছেন। দুই রাষ্ট্রকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন চীনা প্রেসিডেন্ট।

চীনা প্রেসিডেন্টের ভাষায়, ‘চীন ও যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের ভেতরে যোগাযোগ ও সহযোগিতা আরও বাড়াতে হবে।’

সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগরে তাইওয়ান নিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে। তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে চীন। সেখানকার আকাশসীমা লঙ্ঘন থেকে শুরু করে একাধিক সামরিক প্রদর্শনের মাধ্যমে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে বেইজিং বলে দাবি ওয়াশিংটনের।

এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন যে, চীনের হাত থেকে তাইওয়ানকে রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর যুক্তরাষ্ট্র। আর বাইডেনের এই ঘোষণায় কোনো ভাবেই সন্তুষ্ট ছিল না চীন।

আরো পড়ুন:

‘ঐতিহাসিক প্রস্তাব’ পাসের পর পুনরায় চীনের ইতিহাস লিখলেন শি জিনপিং

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *