ঈদে বাড়িফেরা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ছাদেও যাত্রী
প্রিয়জনের সঙ্গে উদ্যাপনে ঈদে বাড়িফেরা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ছাদেও যাত্রী যাচ্ছে। রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চ ভিড়তেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। পা ফেলার জায়গা নেই কোথাও।
লোকে লোকারণ্য ডেক। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ছাদেও বহন করা হচ্ছে যাত্রী। এ জন্য হাতেগোনা কয়েকটি লঞ্চ মালিককে জরিমানা করেই দায় সারে কর্তৃপক্ষ। আর ভাড়া নিয়ে আছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।
ঈদ আনন্দে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। দক্ষিণবঙ্গের উদ্দেশে ছাড়ছে একের পর এক লঞ্চ। সবকটিই ঠাসা যাত্রীতে। মূলত এ চাপ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয়।
ডেকে কিংবা ছাদে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ কাটাতে যে যেভাবে পারছেন গাদাগাদি করেই জায়গা করে নিচ্ছেন লঞ্চে। যদিও শনিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে সদরঘাটে পৌঁছাতে রাস্তায় তেমন কোনো বিড়ম্বনা না হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। আর করোনার কারণে আগের দুই বছর ঈদযাত্রায় ছন্দপতন হলেও এবারের বিধিনিষেধ মুক্ত যাত্রায় উচ্ছ্বাসের ছাপ সব বয়সী মানুষের চোখেমুখে।
যদিও প্রায় সব লঞ্চেই যাত্রীপরিবহন করা হচ্ছে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি। নিষেধাজ্ঞার পরও অনেক লঞ্চের ছাদেই নেওয়া হচ্ছে যাত্রী। এ কারণে হাতেগোনা কয়েকটি লঞ্চকে জরিমানা করেই দায় সারে কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম পরিচালক (বন্দর) আলমগীর কবির সময় সংবাদকে বলেন, মালামাল পরিবহন এখন বন্ধ। সেক্ষেত্রে নির্ধারিত ধারণক্ষমতা থেকে ১০ বা ১৫ শতাংশ যাত্রী বেশি হয় তাহলে লঞ্চের কোনো সমস্যা হবে না। ঈদযাত্রার জন্য ১৫০টিরও বেশি লঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। যাত্রীদের জন্য কোনো লঞ্চ সংকট হবে না।
আবার লঞ্চের ভাড়া নিয়েও যাত্রী ও লঞ্চ সংশ্লিষ্টদের ছিল পাল্টাপাল্টি দাবি। লঞ্চযাত্রীরা বলেন, বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে, আগে ভাড়া ছিল ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা নিত। তবে বর্তমানে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা করে নিচ্ছে।
লঞ্চ কৃর্তপক্ষ জানায়, তেলের দাম বেড়েছে, ঈদের মধ্যে কিন্তু অন্য ভাড়া বাড়েনি। এদিকে আগত যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নৌপুলিশ। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে নৌপুলিশ
এ বিষয়ে সদরঘাট নৌপুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়ুম আলী সরদার বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এ ছাড়া ঈদযাত্রায় জননিরাপত্তার কোনো ঘাটতি না থাকে সেদিকেও আমাদের নজর রয়েছে। অপরাধীরা মানুষের ভিড় দেখে যেন কোনো ধরনের অপরাধ না করতে পারে সেদিকে আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে।