ঈদের ছুটিতে ৫ দিনে ৮০০ কোটি টাকার ব্যবসা
করোনা কাটিয়ে ঈদের ছুটিতে ৫ দিনে ৮০০ কোটি টাকার ব্যবসা। ঈদের টানা ছুটিতে কক্সবাজারে রেকর্ডসংখ্যক পর্যটক সমাগত হয়েছে। এতে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ব্যবসা হয়েছে পর্যটনের সব খাতে। চেম্বার নেতারা জানান, সব মিলিয়ে ৮০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।
করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে গত দু’বছর অনেকটা ঘরবন্দি ছিল মানুষ। তবে এবার ঈদের টানা ছুটিতে মানুষের আনাগোনায় চিরচেনা রূপ ফিরে পায় বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার।
ঈদের ছুটিতে ছুটে আসেন ৭ লাখের বেশি পর্যটক। সৈকতে ঘুরেছেন ওয়াটার ও বিচ বাইকে, চড়েছেন ঘোড়াতে আর প্রিয় মুহূর্তগুলো ধরেছেন ক্যামেরার ফ্রেমে। পাশাপাশি কেনাকাটা করেছেন সৈকতপাড়ের বার্মিজ পণ্যের দোকান, আচার, শুঁটকি ও শামুক-ঝিনুকের দোকানে।
ব্যবসায়ীরা জানান, আশানুরূপ ব্যবসা হয়েছে তাদের। সৈকতসংলগ্ন কয়েকটি দোকানে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকার বেচাকেনা করেছেন তারা।
সি বিচের পেশাদার ক্যামেরাম্যানরা বলেন, প্রতিদিন তাদের ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হয়েছে।
প্রায় ৫ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউস ও কটেজ ছিল পর্যটকে ভরা। ভালো ব্যবসা হবার পাশাপাশি পর্যটকদের আনন্দের দিতে নানা আয়োজন ছিল বলে জানিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
চেম্বার সভাপতি জানালেন, রেকর্ডসংখ্যক পর্যটক আগমনে ৮০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।
কক্সবাজার চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, ‘করোনা সময়ে কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পেরেছি আমরা। ঈদে টানা ৫ দিন ছুটি থাকায় কক্সবাজারে রেকর্ডসংখ্যক পর্যটক এসেছে। এতে করে আমাদের প্রায় ৮০০ কোটি টাকার মতো ব্যবসা হয়েছে।’
সৈকতের পাড়ঘেঁষে রয়েছে সহস্রাধিক বার্মিজ পণ্যের দোকান। আর সৈকতে রয়েছে হাজারের বেশি ফটোগ্রাফার, ওয়াটার ও বিচ চালক, কিটকট ব্যবসায়ী এবং হকার। পর্যটকদের সেবা দিতে ও নিজেদের ব্যবসা চালিয়ে নিতে ঈদ মৌসুমের পুরো সুবিধা কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছে কক্সবাজারের পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো।