মাতৃভূমি

ই-পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা দুর্ভোগে যে কারণে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: এক সময়ের মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্টের যুগে বাংলাদেশ। গত কয়েক বছরে ই-পাসপোর্ট সেবা দিতে গিয়ে বারবার চ্যালেঞ্জের মুখে পাসপোর্ট অধিদপ্তর।

সামান্য ভুলের খেসারতে দীর্ঘ হচ্ছে পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের দুর্ভোগ। একদিকে সার্ভার জটিলতা অন্যদিকে নামের আংশিক অক্ষরগত ভুলে আটকে আছে ৩০ হাজারের বেশি ই-পাসপোর্ট।

যেখানে দাড়ি কমা কিংবা এমডি বা মোহাম্মদের মতো পূর্ণ বা সংক্ষিপ্ত ভুলেও আটকে যাচ্ছে ই-পাসপোর্ট। এর জন্য হচ্ছে নতুন করে পুলিশ রিপোর্ট। কখনও কখনও সংশোধনের জন্য আদালত কর্তৃক হলফনামা। এই সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিনই কয়েক হাজার মানুষ ছুটে আসছেন রাজধানীর আগারগাঁও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে।

তার ওপর নতুন করে যুক্ত হয়েছে সার্ভার জটিলতা। একটি সার্ভারেই জাতীয় পরিচয়পত্র, এমআরপি, ই-পাসপোর্ট তথ্য সংরক্ষণ থাকায় মাঝে মাঝেই বন্ধ হচ্ছে গ্রাহকের আবেদন জমা নেওয়া। কয়েক সপ্তাহ ঘুরেও মিলছে না ছবি তোলার নির্ধারিত তারিখ। যারাও তারিখ পাচ্ছেন দেড় থেকে দুই মাস পর। এছাড়া সময় মতো পাসপোর্ট না পাওয়ার অভিযোগ তো রয়েছেই।

এমন অবস্থায় পাসপোর্ট অধিদপ্তর বলছে, নামের ভুলই ই-পাসপোর্ট জটিলতার প্রধান কারণ। তবে এই সমস্যার সমাধানে আরও সময় চায় অধিদপ্তর। মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী বলেন, চাপ বাড়ায় মাঝেমধ্যেই গতি হারাচ্ছে সার্ভার। গত সপ্তাহে এ সমস্যা প্রকট ছিল। তবে বর্তমানে তেমন নেই।

মহাপরিচালক বলেন, পরিচয়পত্রসহ স্কুল-কলেজের সার্টিফিকেটে নামের বানান একেক জায়গায় একেক রকম থাকে। যেমন মোহাম্মদ এবং মো.। এই দুটিকে আমরা একই অর্থ ধরে নিই। কিন্তু আন্তর্জাতিকক্ষেত্রে বিবেচনা করতে গেলে এটা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। কারণ দুইটি আলাদা নাম। এরকমই আরও বেশ কিছু বিষয় আছে, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। তাই সেবা দিতে গিয়ে জটিলতায় পড়তে হচ্ছে।

২০২০ সালের ২২ জানুয়ারিতে দেশে শুরু হওয়া ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমে এখন পর্যন্ত প্রায় ১২ লাখ গ্রাহক পেয়েছেন এই সেবা।

আরো পড়ুন:

২০২৪ সালের মধ্যে শতভাগ জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করবে সরকার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *