ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: ইসরায়েলকে ড্রোনপ্রযুক্তির ‘পাওয়ার হাউস’ বলা হয়। ড্রোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেশটির খ্যাতি বিশ্বজোড়া। ইসরায়েল এবার তাদের বিমানবাহিনীর অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের বাস্তব অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে শুরু করেছে। চলতি সপ্তাহে তার নমুনাও দেখা গেছে তেল আবিবে। ঘরে ঘরে বিয়ার, আইসক্রিম ও সুশি পৌঁছে দিয়েছে ড্রোন।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেল আবিবের সমুদ্রসৈকতের পাশের উঁচু ভবনগুলোর ওপর দিয়ে এ সপ্তাহে তিনটি ড্রোন উড়তে দেখা যায়। ড্রোনের প্রপেলারগুলো ল্যান্ডিং প্যাডে নামার সঙ্গে সঙ্গে গর্জন করতে শুরু করে। এর মধ্যে দুটিতে ছিল সুশি এবং তৃতীয় ড্রোনটিতে ছিল বিয়ারের ক্যান।
ড্রোনের মাধ্যমে ঘরে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার এ কাজ করেছে ইসরায়েলের দুটি কোম্পানি। এর মধ্যে একটি হলো হাই ল্যান্ডার। কোম্পানিটি বেনামি ড্রোনের মাধ্যমে চলাচলের ক্ষেত্র তৈরির জন্য বিশেষজ্ঞ। অপর কোম্পানির নাম ক্যান্ডো। ড্রোন নিয়ে কাজ করা এ কোম্পানি খদ্দেরদের জন্য ড্রোন কৌশল তৈরিতে সাহায্য করে।
হাই ল্যান্ডারের প্রধান নির্বাহী অ্যালন অ্যাবেলসন এএফপিকে বলেন, ‘ড্রোন ওড়ানো তো কোনো ইস্যু নয়। আমরা একসঙ্গে অনেক ড্রোন ওড়ানোর কথা বলছি, যেগুলো ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানির তৈরি। কিন্তু এখনো আমাদের সফটওয়্যার দিয়ে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে। নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি, একটির সঙ্গে অন্যটির ধাক্কা যেন না লাগে।’
ড্রোনের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহের জন্য পরীক্ষামূলক এই প্রকল্প শুরু হয়েছে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে। ইসরায়েলের ড্রোনপ্রযুক্তিকে আরও উন্নত করাই এর লক্ষ্য। এ জন্য দুই কোটি ইসরায়েলি শেকেল বা ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের যে বরাদ্দ করা হয়েছে, তারই অংশ হিসেবে ড্রোনে পণ্য সরবরাহের এমন উদ্যোগ।
ইসরায়েল ইনোভেশন অথোরিটির এ প্রকল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড্যানিয়েলা পার্টেম। তিনি বলেন, তিনি স্বপ্ন দেখেন ভবিষ্যতে জনবহুল শহরে একসঙ্গে হাজার হাজার ড্রোন উড়বে। এতে ঘরে ঘরে ওষুধ, চিকিৎসার সরঞ্জাম ও খাবারের পার্সেল যেমন পৌঁছে দেওয়া যাবে, তেমনি পুলিশের বিভিন্ন অভিযান জোরদার হবে।
ড্যানিয়েলা পার্টেম বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ইসরায়েলে প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি, যেখানে একটি কোম্পানির আধিপত্য থাকবে না। আমরা যদি সড়ক ও আকাশপথ থেকে যানবাহন তুলে দিতে পারি, তাহলে এতে প্রভাব ফেলা ছাড়াও বায়ুদূষণ কমিয়ে পণ্য সরবরাহের জন্য ভালো ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে পারব।’
আরো পড়ুন:
ছুটে আসছে মহাকায় ধূমকেতু | কোনো ভয় নেই পৃথিবীর