প্রচ্ছদ

ইভ্যালির মার্চেন্ট ও ভোক্তাদের ৭ দফা দাবি

ইভ্যালির মার্চেন্ট ও ভোক্তাদের সমন্বয়ক সাকিব হাসান দাবি তুলে ধরে বলেন,‘আমরা ইভ্যালির প্রায় ৭৪ লাখ গ্রাহক প্রায় ৩৫ হাজারের অধিক বিক্রেতা এবং ৫ হাজারের স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী ইভ্যালির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত। আমরা সবাই-ই জানি ইভ্যালি বর্তমানে বাংলাদেশের প্রথম সারির ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ডিজিটাল মার্কেট প্লেসে ভোক্তাদের পণ্য ক্রয়ে উদ্বুদ্ধকরণ এবং নতুন হাজার হাজার উদ্যোক্তা তৈরিতে ইভ্যালির ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিন ও সিইও মোহাম্মদ রাসেলকে কারাগারে রাখা হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। ব্যবসার পরিধি বড় হলে কিছু অভিযোগ বা সমন্বয়হীনতার অভাব থাকতে পারে। আমরা মনে করি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, ইক্যাব, মার্চেন্ট, ভোক্তাসহ সবার প্রতিনিধি ও ইভ্যালির কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করে এই সমন্বয়হীনতার বা সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের আশা-ভরসার কেন্দ্রবিন্দু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আকুল আবেদন, লাখ লাখ ভোক্তার স্বপ্ন পূরণ এবং হাজার হাজার নতুন উদ্যোক্তাদের সৃষ্টি হওয়ার মাধ্যম ইভ্যালি যেন কোনো ষড়যন্ত্রের শিকার না হয়। আমরা জানি বাংলাদেশের কোনো সমস্যাই আপনার দৃষ্টিসীমার বাইরে নয়। আপনিই পারবেন হাজার হাজার উদ্যোক্তা তৈরির প্ল্যাটফর্মটি রক্ষা করে আপনার নেতৃত্বে আগামী দিনে ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্থনৈতিক মুক্তির পথ সহজ করতে।’
মার্চেন্ট ও ভোক্তাদের ৭ দাবি-
১. ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের মুক্তি দিতে হবে।
২. রাসেলকে নজরদারির মাধ্যমে দিকনির্দেশনা দিয়ে ব্যবসায় করার সুযোগ দিতে হবে।
৩. এসক্রো সিস্টেম চালু হওয়ার পূর্বে অর্ডারকৃত পণ্য ডেলিভারি দিতে রাসেল সময় চেয়েছেন, আমরা তাকে সময় দিয়ে সহযোগিতা করতে চাই।
৪. বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইক্যাব, পেমেন্ট গেটওয়ে, মার্চেন্ট এবং ভোক্তা প্রতিনিধিদের সমন্বয় কমিটি গঠন করতে হবে।
৫. করোনাকালে বিভিন্ন খাতের মতো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোকে প্রণোদনা দিতে হবে।
৬. ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাধ্যতামূলক লাইসেন্স নিতে হবে ব্যাংক গ্যারান্টিসহ।
৭. ই-কমার্স বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত, যেখানে হাজার হাজার উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে এবং লাখ লাখ কর্মসংস্থান হচ্ছে। এই সেক্টরকে সরকারি সুরক্ষা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, গেল ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। এর প্রেক্ষিতে গুলশানের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। বর্তমানে তারা দুজন কারাগারে রয়েছেন।

ইভ্যালির সিইও রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমার মুক্তিসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে ইভ্যালির মার্চেন্ট ও ভোক্তারা।
আজ রোববার (৩ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানায়। এ সময় ইভ্যালির মার্চেন্ট ও ভোক্তাদেরর বক্তব্য তুলে ধরেন সমন্বয়ক মো. নাসির উদ্দিন ও সহসমন্বয়ক সাকিব হাসান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *