ইন্টারকে হারালো লিভারপুল
অবশেষে ফিরমিনো-সালাহর গোলে ইন্টারকে হারালো লিভারপুল।
প্রথমার্ধের ম্যাড়ম্যাড়ে ফুটবলের পর ম্যাচে প্রাণ ফেরাল ইন্টার মিলান। ভীতি ছড়াল লিভারপুলের রক্ষণে। ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের আক্রমণের ঝাপটা সামাল দিয়ে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল দেখাল নিজেদের সামর্থ্য। রবের্তো ফিরমিনো ও মোহামেদ সালাহর চমৎকার ফিনিশিংয়ে ফিরল জয় নিয়ে।
সান সিরোয় বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ২-০ গোলে জিতেছে লিভারপুল। হেডে ফিরমিনো দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে জাল খুঁজে নেন সালাহ।
প্রথমার্ধে বল দখলে প্রায় সমানে সমান ছিল দুই দল। তবে গোলের উদ্দেশ্যে শট বেশি নিতে পারে লিভারপুল। তাদের ৯টির বিপরীতে ইন্টার তিনটি শট নেয়, যদিও কারোর শটই ছিল না লক্ষ্যে।
সপ্তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে বল পেয়ে যান মোহামেদ সালাহ। কিন্তু বাজে ফিনিশিংয়ে গোলরক্ষকের পরীক্ষাও নিতে পারেননি তিনি।
১০ মিনিট পর দারুণ এক সুযোগ পান ইন্টারের হাকান কালহানোগ্লু। সতীর্থ ইভান পেরিসিচের ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে শট নেন তিনি। কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষকের, কিন্তু ক্রসবারে লেগে মাঠে ফেরে বল।
বল ক্লিয়ার না করে ৩০ ও ৩৩তম মিনিটে দুইবার গোলরক্ষককে ব্যাকপাস দিয়ে বিপদ ডেকে আনতে যাচ্ছিল ইন্টার। ভাগ্য ভালো, দুইবারই কোনোমতে বেঁচে যায় তারা।
৪০তম মিনিটে সুযোগ আসে লাউতারো মার্তিনেসের সামনে। তবে শট নিতে একটু সময় নিয়ে ফেলেন তিনি। সেই সুযোগে দলকে রক্ষা করেন অ্যান্ডি রবার্টসন। পরের মিনিটে কর্নারে সবার ওপরে লাফিয়ে হেড করলেও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি স্বাগতিকদের মিলান স্ক্রিনিয়ার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে লিভারপুলকে চেপে ধরে ইন্টার। ৬০তম মিনিটে বল জালেও পাঠায় তারা। কিন্তু এদিন জেকো অফসাইডে থাকায় গোল দেননি রেফারি।
অনেকটা খেলার ধারার বিপরীতেই ৭৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় লিভারপুল। রবার্টসনের কর্নারে চমৎকার হেডে দূরের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন বিরতির সময় বদলি নামা ফিরমিনো।
৮৩তম ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সালাহ। এতে অবশ্য ভাগ্যেরও একটু সহায়তা ছিল। ট্রেন্ট অ্যালেক্সজান্ডার-আর্নল্ডের কাছ থেকে বল পেয়ে গোলের জন্য শট নেন মিশরের এই স্ট্রাইকার। ইন্টারের এক জনের গায়ে লেগে একটু দিক পাল্টে বল জড়ায় জালে।
বাকি সময়ে গোলের তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দলই।
আগামী ৮ মার্চ অ্যানফিল্ডে হবে ফিরতি পর্বের লড়াই। তবে সান সিরোর জয়ে শেষ আটের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে লিভারপুল।