নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাড়ে ৬ বছর পর ইউরোপে পুনরায় পান রপ্তানি শুরু হয়েছে। ২৬ মে সকালে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক ঢাকার শ্যামপুরে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে ইউরোপে নিরাপদ ও মানসম্পন্ন পান রপ্তানি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রথম চালানে যুক্তরাজ্যে রপ্তানি হয়েছে এক মেট্রিক টন পান। কৃষিমন্ত্রী বলেন, “আমাদের নিরলস উদ্যোগের ফলে ইউরোপে পান রপ্তানি আবার শুরু হয়েছে। এটি খুবই আশার কথা। ভবিষ্যতে পান রপ্তানি যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে কৃষি মন্ত্রণালয় উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে।”
কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক মনে করেন, “কৃষিপণ্যের রপ্তানির সম্ভাবনা অনেক। সে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ইউরোপসহ উন্নত দেশে অন্যান্য কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে উদ্যোগ অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে দেশে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা (গ্যাপ) বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। সারাদেশে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিষমুক্ত শাকসবজি উৎপাদন হচ্ছে। অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব থেকে সনদ দেয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া, ভ্যাকুয়াম হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ চলছে। ফলে, আমরা আশা করছি, দেশের রপ্তানি বৃদ্ধিতে কৃষিপণ্য বিরাট ভূমিকা রাখবে ও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। এছাড়া, কৃষকও লাভবান হবে।”
নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে ২০১২-১৩ সালে ১৮ হাজার ৭৮০ টন ও ২০১৩-১৪ সালে ১৩ হাজার ২৫০ টন পান রপ্তানি হয়। যার মূল্য যথাক্রমে ৩৮ মিলিয়ন ও ৩০ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবল অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফভিএপিইএ) সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনসুর বলেন, “আমরা স্যালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ামুক্ত পান উৎপাদন করছি। সেটি নিশ্চিত হওয়ার পর গত মাসে ইইউ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।”
রপ্তানিকারকরা জানান, “ইউরোপের যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানিসহ কয়েকটি দেশে পান রপ্তানি হয়। তবে ইউরোপে যাওয়া ৯০ শতাংশ পানের গন্তব্য হচ্ছে যুক্তরাজ্য। এর বাইরে মধ্যপ্রাচ্যেও পান রপ্তানি হচ্ছে। মূলত প্রবাসী বাংলাদেশিরাই এই পানের ক্রেতা।”