উৎসব-পার্বণ

ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেল দুর্গাপূজা উৎসব

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার দুর্গাপূজা উৎসবকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সংস্থাটির আন্তঃদেশীয় কমিটির ষোড়শ অধিবেশনে ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ হিসেবে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ, এনজিও ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের শত শত প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এই অধিবেশন হয়ে আসছে।

এ উপমহাদেশে শারদীয় দুর্গোৎসবের জুড়ি নেই। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসামসহ প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই বাঙালিরা এ শারদীয় দুর্গোৎসবে মেতে ওঠেন।

বাংলাদেশেও প্রতিবছর ব্যাপক আড়ম্বরের সঙ্গে পালিত হয় এ উৎসব। এ উৎসবের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য এ বছর ইউনেস্কোর কাছে আবেদন জানায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

স্বীকৃতি পাওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্তোষ প্রকাশ করে টুইট করেছেন। তিনি বলেছেন, এ স্বীকৃতি প্রত্যেক ভারতীয়র জন্য গর্বের ও আনন্দের। দুর্গাপূজা আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সেরা দিকগুলো আলোকিত করে। সবার উচিত দুর্গাপূজা দেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করা।

এদিকে ফিলিস্তিনিদের ঐতিহ্যবাহী এমব্রয়ডারিকে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে ইউনেস্কো। এই সিদ্ধান্তের জন্য ইউনেস্কোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আশতিয়াহ।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের পরিচয়, ঐতিহ্য ও ইতিহাস রক্ষায় এই পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী। দখলদাররা আমাদের সবকিছু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। যে কারণে এ সিদ্ধান্ত খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারিকে বলা হয় তাতরিজ। ফিলিস্তিনিদের এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্ম বয়ে বেড়াচ্ছে এই শৈল্পিক ঐতিহ্য। পোশাকে উজ্জ্বল রঙের সুতায় সুঁইয়ের ফোঁড়ে নকশা তৈরি করে তাতরিজ বানানো হয়।

ফিলিস্তিনি নারীরা ছাওব নামের যে ঢোলা এক ধরনের পোশাক পরেন, যা এমব্রয়ডারি করা থাকে। গ্রামীণ অঞ্চলে এই শিল্পের উৎস হলেও শহরেও তা পরবর্তীতে ছড়িয়ে পড়েছে।

তবে অঞ্চলভেদে ভিন্নতাও রয়েছে। অনেক সময় এই পোশাক পরার মাধ্যমে নারীদের অর্থনৈতিক ও বৈবাহিক মর্যাদাও নির্ধারণ করা হয়।

আরো পড়ুন:

৫০০ কেজি করে প্রত্যেক গির্জায় চাল দেবে সরকার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *