নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: দেশের তিন কোটিরও বেশি শিক্ষার্থীর জন্য ইউনিক আইডি বা একক পরিচয়পত্র তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে দেশের বিভিন্ন স্থানের ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরি করা হচ্ছে। সেটি সফল হলে পুরোদমে এ কাজ শুরু হবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের তথ্য স্থায়ীভাবে সংরক্ষণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষর্থীদের প্রোফাইল প্রণয়ন প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১৯ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতে মোট ১৩ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ধাপে ধাপে এ প্রকল্পের মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে। এজন্য প্রকল্প উন্নয়ন প্রস্তাবনা (ডিপিপি) সংশোধন করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল তৈরিতে একটি সফটওয়্যার তৈরিতে গত ২৪ মে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। সফটওয়্যার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার ৮০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল তৈরি করা হবে। সেটি সফল হলে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এর আওতায় আনা হবে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডির তথ্য দিয়ে তার শিক্ষাজীবনের পরিচয় হবে। তথ্য সহজীকরণে আমরা এ প্রকল্প হাতে নিয়েছি।
তিনি বলেন, পাইলটিং হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানের ৮০টি বিদ্যালয়ের শিশুদের ইউনিক আইডি তৈরি করা হবে। সেটি সফল হলে ধাপে ধাপে সকল শিক্ষার্থীকে এর আওতায় আনা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, শিশুশ্রেণি (৫ বছর) থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণির (১৭ বছর বয়স) পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে এই ইউনিক আইডি। এই আইডিতে ১০ সংখ্যা বা ১৬ সংখ্যার শনাক্তকরণ নম্বর থাকবে এবং এসব তথ্য পরবর্তীতে শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। এরপর থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে আর আলাদাভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হবে না।
অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রাথমিকে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল প্রণয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল তৈরি করা হবে এবং ইউনিক আইডি কার্ড দেওয়া হবে। এই ইউনিক আইডি কার্ড তৈরির জন্য প্রাথমিক পর্যায়ের সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের তথ্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
আরো পড়ুন:
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আবেদন শুরু