নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: আনোয়ারা উপজেলার চাতুরী ইউনিয়নের দুটি গ্রাম ডুমুরিয়া ও রুদুরা। বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার।
কষ্টে দিন কাটে গ্রামের হাজারো পরিবারের। দীর্ঘদিনের সৃষ্ট এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেনি কেউ। অবশেষে খবর শুনে সেই গ্রামে ছুঁটে গেলেন আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জুবায়ের আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) দুপুর ১টা। একদল স্বেচ্ছাসেবককে সঙ্গে নিয়ে পানিবন্দি ৫ হাজার মানুষকে মুক্ত করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করেন ইউএনও শেখ জুবায়ের আহমেদ।
তারই পরিকল্পনা অনুযায়ী নালা খনন করেন স্বেচ্ছাসেবক দল। টানা তিন ঘন্টার পরিশ্রমে কমতে শুরু করে পানি।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জুবায়ের আহমেদ বলেন, প্রায় সহস্রাধিক মানুষ জলাবদ্ধ ছিলেন। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় তারা বেশ ভোগান্তিতে ছিলেন। যে সকল স্থান দিয়ে পানি চলাচল করতো সেগুলো বসতভিটা গড়ে ওঠার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে৷ ফলে বর্ষাকালে গ্রাম দুটোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, পানি নিষ্কাশনের সুবিধার্থে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় একটি নালা খনন করে দেওয়া হয়। আশা করি এই নালা দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি নিষ্কাশন হবে। ভবিষ্যতে এই জায়গায় একটি আরসিসি ড্রেন নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ডুমুরিয়া ও রুদুরা গ্রামের বাসিন্দা আব্বাস উদ্দিন ও মোজাম্মেল বলেন, আমাদের এ কষ্ট দীর্ঘদিনের। একটু বৃষ্টিতে আমাদের বাড়ি ঘরে পানি জমে যায়৷ চলাফেরা করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। পানি চলাচলের ছিল না কোন ব্যবস্থা। পরে আমরা বাধ্য হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে অবহিত করি। তিনি নিজেই আমাদের সঙ্গে এসে নালা খনন করে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করেন। এখন জলাবদ্ধ পানি কমতে শুরু করে।