খেলাধুলা

ইংলিশদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিলো ভারত

সরল অঙ্কের জটিল সমীকরণে ঝুলে ছিল ইংল্যান্ডের সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা। হাতে থাকা সবগুলো ম্যাচ জিততে হবে, নিউজিল্যান্ডের সব ম্যাচ হারতে হবে—এমন আরও হিসাব-নিকাশ ছিল। এই অঙ্ক মিলবে না মেনে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। ভারতের বিপক্ষে ১০০ রানের বড় ব্যবধানে হেরে অঙ্ক শেষ হওয়ার আগেই মিলে গেল উত্তর। তিন ম্যাচ হাতে থাকতে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলো ইংল্যান্ড। টানা ছয় জয়ে সেমিফাইনাল একপ্রকার নিশ্চিত করে ফেলল ভারত।

রোববার (২৯ অক্টোবর) লখনৌতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের বোলিং উত্তাপে নাস্তানাবুদ ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে মাত্র ২২৯ রান সংগ্রহ করে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেছেন অধিনায়ক রোহিত। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে জশপ্রীত বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি ও কুলদ্বীপ যাদবের বোলিং তোপে মাত্র ১২৯ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড।

২৩০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই ছিল ইংল্যান্ডের। তবে পরপর দুই বলে দাভিদ মালান আর জো রুটকে ফিরিয়ে শুরু করেন বুমরাহ। ইংলিশদের ধ্বংসযজ্ঞের সূচনা ওখান থেকেই। এরপর জোড়া শিকার করেন মোহাম্মদ শামি। আজ সাবধানী বেন স্টোকস ১০ বলে মোকাবেলা করেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। জনি বেয়ারস্টো আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ১৪ রানে। এতে ৪০ রানের আগেই ৪ উইকেট হারায় ইংলিশরা।

অধিনায়ক জশ বাটলার আবারও হতাশ করেছেন এদিন। ২৩ বলে করেছেন মোটে ১০ রান। কুলদীপের দুর্দান্ত বলে ভেঙেছে তার প্রতিরোধ। মঈন আলী আর লিয়াম লিভিংস্টোন প্রতিরোধ করতে চাইলেও কাজে আসেনি। দুজনে বল খেলেছেন বিস্তর। সময় কাটিয়েছেন। তবে রান আসেনি তেমন। দুজনের জুটি ২৯ রানের। এবার আউট হলেন মঈন। উইকেট পেয়েছেন সেই শামি। ইংলিশদের পরাজয় তখন কেবল সময়ের ব্যাপার।

লিভিংস্টোন ছিলেন দলের সর্বোচ্চ স্কোরার। ৪৬ বলে করেছেন ২৭ রান। কুলদীপের বলে তার আউট শেষ করে দিয়েছিল সব আশাই। মাঝে ক্রিস ওকস ২০ বলে করেছেন ১০ রান। এরপর দুই চারে আদিল রশিদের ১৩ আর ডেভিড উইলির ১৬ ইংলিশদের ১০০ রানের গন্ডি ছাড়াতেই কেবল সাহায্য করেছিল। ইংলিশরা থামে ১২৯ রানে। হারের ব্যবধান ঠিক ঠিক ১০০ রান।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৪০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় ভারত। শুভমান গিল ৯, বিরাট কোহলি ০, শ্রেয়াস আইয়ার ৪ রান করে ফিরে যান। তবে চতুর্থ উইকেটে দলের হাল ধরেন লোকেশ রাহুল এবং রোহিত শর্মা। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৯১ রান যোগ করেন দুজনে। থিতু হয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি রাহুল। ৫৮ বলে ৩৯ রান করে উইলির শিকার হন তিনি।

তবে ক্যারিয়ারের ৫৪তম ফিফটি তুলে নেওয়ার পর সেঞ্চুরির পথেই এগোচ্ছিলেন রোহিত। ভারতের অধিনায়ককে ৮৭ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরান আদিল রশিদ। ৮৭ রানের ইনিংসে ১০ চার ও ৩ ছক্কা হাঁকান তিনি। সূর্যকুমার ফিফটির মাত্র ১ রান আগেই সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। এতে ৪৯ রানে থেমেছে মারকুটে এই ব্যাটারের ইনিংস। শেষদিকে বুমরাহর ১৬ আর কুলদীপের ৯ রান ভারতের ইনিংস টেনে নিয়েছে ২২৯ পর্যন্ত।

ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন ডেভিড উইলি। এছাড়া ওকস ও রশিদের শিকার দুটি করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *