পর্যটন ও পরিবেশ

আসামের বনে ছাড়া হলো বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রাকার ১২টি শূকর

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: বনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রাকার এক ডজন শূকর। এই প্রজাতির শূকরের বিলুপ্তি রোধে বংশবৃদ্ধির জন্য ভারতের আসামের একটি বনে শূকরগুলো ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এই পিগমি শূকরের বৈজ্ঞানিক নাম পরচুলা সালভানিয়া। এরা মূলত উঁচু ও ভেজা ঘাসসমৃদ্ধ এলাকায় বিচরণ করে। একসময় ভারত, নেপাল এবং ভুটানে হিমালয় পাদদেশের সমভূমিতে এদের দেখা যেত।

১৯৬০ সালের দিকে তাদের সংখ্যা কমতে থাকে। ১৯৭১ সালে আসামে এই শূকরের দেখা মেলার আগে এদের প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। এরপর ১৯৯৩ সালে ভুটান সীমান্তে আসাম মানাস ন্যাশনাল পার্কেও এদের দেখা মেলে।

১৯৯৬ সালে তাদের বংশবৃদ্ধি এবং বিলুপ্তি রোধে অনেকগুলো সংগঠন এগিয়ে আসে। সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয় দি পিগমি হগ কনসার্ভেশন প্রোগ্রাম। এই কর্মসূচির আওয়তায় ক্ষুদ্রাকার এই শূকর নিয়ে কাজ করা হয়।

এই কর্মসূচির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ধ্রিতিমান দাস বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমরা ১২টি পিগমি শূকর বনে ছেড়ে দিয়েছি। এগুলোর মধ্যে সাতটি পুরুষ এবং পাঁচটি নারী শূকর রয়েছে।’

এই ১২টি শূকরের মধ্যে মানাসে গত মঙ্গলবার আটটি এবং শনিবার চারটি ছেড়ে দেয়া হয়। এর আগে গত বছর ১৪টি ছেড়ে দেয়া হয়। এই কর্মসূচিতে ৭০টি শূকর দেখভাল করছে এবং আরও প্রজননের চেষ্টা করছে। সব মিলে বর্তমানে এই প্রাণীর সংখ্যা ২৫০টির বেশি হবে না বলে জানা গেছে।

 আগামী চার বছরের মধ্যে ৬০টি শূকর বনে ছেড়ে দেয়া তাদের লক্ষ্য, যাতে করে সেখানে তারা বংশবৃদ্ধি করতে পারে।

দি পিগমি হগ কনসার্ভেশন প্রোগ্রাম জানায়, এই ক্ষুদে প্রাণীগুলো লম্বায় ৬৫ সেন্টিমিটার এবং উচ্চতায় ২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। তাদের ওজন হয় আট থেকে নয় কেজি পর্যন্ত।

বিশেষজ্ঞরা জানান, কৃষি, আবাসন এবং অব্যবস্থাপনায় আবাসভূমি হারিয়ে এই প্রজাতির শূকর বিলুপ্তির মুখে পড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *