পর্যটন ও পরিবেশ

আশা বাঁচিয়ে রাখবে গ্লাসগো চুক্তি: বিবিসির বিশ্লেষণ

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় ম্যারাথন আলোচনার পর শেষ মুহূর্তে মতৈক্যে পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। বেশ কিছু ছাড় দিয়ে শেষ পর্যন্ত শনিবার রাতে গ্লাসগো চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। তবে শেষ সময়ে এসে গ্লাসগো জলবায়ু চুক্তিতে কয়লার ক্ষেত্রে ব্যবহার বন্ধ করার পরিবর্তে ব্যবহার সীমিত করার ভাষাটি যুক্ত করতে হয়েছে। এতে চুক্তিটি দুর্বল হয়েছে। তারপরও বিশ্বের ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার লাগাম লাগাতে এটি একটি উচ্চাভিলাষী প্রচেষ্টা।

চূড়ান্ত চুক্তিতে বিশ্বেনেতাদের কার্বন নির্গমন রোধে শক্তিশালী পরিকল্পনা নিয়ে আগামী বছর আবার ফিরে আসতে আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৫ সালের মধ্যে দরিদ্র দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করার জন্য ধনী দেশগুলোকে অন্তত দ্বিগুণ তহবিল দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আয়োজক দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য বিশ্বের অন্য দেশগুলোকে বন উজাড় বন্ধ করা, মিথেন এবং কয়লার ব্যবহার সীমিত করার প্রতিশ্রুতি দিতে উত্সাহিত করেছে। প্রত্যেকটি দেশ তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করলে তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

চূড়ান্ত চুক্তি হিসেবে এগুলো তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। এতে দীর্ঘমেয়াদে কার্বন নির্গমন রোধ ও তাপমাত্রায় লাগাম টেনে ধরা যাবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এতে কি বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রির যে লক্ষ্য তাতে আটকে রাখা যাবে? এবারে সম্মেলনে এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে গ্লাসগো আশা জাগিয়ে রাখছে। কিন্তু কপ-২৬ এর বাস্তব প্রভাব আগামী কয়েক বছরে হয়তো দেখা যাবে না।

আরো পড়ুন:

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *