করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আজ শনিবার সারাদেশে ১ কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই কার্যক্রম আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ টিকার মাধ্যমে মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছিল, শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) করোনার প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার শেষ দিন। রবিবার থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে প্রথম ডোজ দেওয়ার কাজ। চলবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ (বুস্টার) টিকা কর্মসূচি।
এদিকে, শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেছেন, দেশে যতদিন করোনা থাকবে, ততদিন টিকা কার্যক্রম চলবে বলে।
১২ বছর বা তার বেশি বয়সী যে কেউ দেশব্যাপী যেকোনো কেন্দ্রে রেজিস্ট্রেশন বা নথি ছাড়াই টিকার প্রথম ডোজ নিতে পারবেন। আজ দেশজুড়ে অন্তত ১ কোটি মানুষকে প্রথম ডোজের আওতায় আনার চেষ্টা রয়েছে। স্থানীয়ভাবে প্রয়োজন অনুযায়ী সব ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগগুলোতে চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত বুথ ও ভ্যাক্সিনেটরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ৭০ হাজারের মতো ভ্যাক্সিনেটর ও স্বেচ্ছাসেবক টিকা দেওয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে করোনাভাইরাস টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হয়। ৮ এপ্রিল শুরু হয় দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম। আর গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।