মাতৃভূমি

আরও আধুনিক হতে যাচ্ছে কোস্টগার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: টেকনাফের নাফ নদী ও সেন্টমার্টিন্স সমুদ্র উপকূল এবং মিয়ানমার সীমান্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এই সমুদ্র পথে চোরাচালান ও মাদক পাচার প্রতিরোধে কোস্টগার্ডের টহল আর জোরদার করা হচ্ছে।

দিনে এবং রাতে সাগর ও নদী পথে কোস্টগার্ডের টহলকালে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে।

মিয়ানমার সীমান্তে নাফ নদী ও সমুদ্রপথে মাদকপাচার, মানবপাচার, চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশনের প্রশাসনিক ভবন, অফিসার্স মেস ও নাবিক নিবাস ভবনের উদ্বোধনকালে কোস্টগার্ডের চট্টগ্রাম জোন কমান্ডার ক্যাপ্টেন কাজী শাহ আলম এ কথা বলেন।

রোববার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেরুনতলী এলাকায় নাফ নদীর তীরে ভবনগুলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়াল এডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী।

টেকনাফে কোস্টগার্ডের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনটিতে দীর্ঘদিন ধরে আবাসনসহ অবকাঠামোগত নানা সংকটের মধ্য দিয়ে দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা করতে হয়েছে। এখন ভবনগুলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে সেটার অবসান হলো।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কক্সবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, কোস্টগার্ডের পূর্ব-জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন কাজী শাহ আলম, বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল, টেকনাফের ইউএনও পারভেজ চৌধুরীসহ কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

নতুন নির্মিত ভবনগুলো উদ্বোধনের পর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়াল এডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী তিনটি গাছের চারা রোপণ করেন। পরে অর্ধ-শতাধিক জেলেদের মাঝে লাইফ জ্যাকেট, বয়া, টর্চ-লাইট, ম্যাগনেটিক কম্পাস ও রেডিও বিতরণ করা হয়।

কোস্টগার্ডের সংশ্লিষ্টরা জানান, সীমান্তে কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশন মাদকপাচার, মানবপাচার, চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। জনবল, অবকাঠামো ও উপকরণগত সংকটের কারণে যথার্থ নজরদারী করা সম্ভব ছিল না। এখন পর্যায়ক্রমে বিরাজমান সংকট সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ এখন রোল মডেল : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *