ব্যক্তিত্বমাতৃভূমি

খালেদা জিয়ার প্রতি মানবতা দেখিয়েছি : শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: নিজের ক্ষমতাবলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করে বাসায় থাকতে দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার প্রতি আমি মানবতা দেখিয়েছি। আমার হাতে যেটুকু পাওয়ার সেটুকু দেখিয়েছি।

যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত ২৬তম বিশ্ব জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন (কপ-২৬) ও ফ্রান্স সফর নিয়ে বুধবার বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে যে কারাগার থেকে বাসায় থাকতে দিয়েছি, চিকিৎসা করতে দিয়েছি এটাই কি বেশি না? আপনাকে যদি কেউ হত্যা করার চেষ্টা করত আপনি কি তাকে গলায় ফুলের মালা দিয়ে নিয়ে আসতেন? বা আপনার পরিবারকে যদি কেউ হত্যা করতো সেই হত্যাকারীদের বিচার না করে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিত তাদের জন্য আপনি কী করতেন?’

তিনি আরও বলেন, ‘ছিয়ানব্বই সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ইলেকশনে হত্যাকারীকে পার্লামেন্টে বসালো। যেখানে আমি বিরোধীদলীয় নেতা ছিলাম সেখানে বসানো হলো কর্নেল রশীদকে। কে করেছিল? খালেদা জিয়া। খায়রুজ্জামান আসামি, তার মামলার রায় হবে। চাকরি নাই। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সেই আসামিকে চাকরি দিলেন ফরেন মিনিস্ট্রিতে। অ্যাম্বাসেডর করে পাঠালেন। পাশা একজন খুনী। সে সেনাবাহিনীর অফিসার ছিল। মারা গেছে। ক্ষমতায় এসে মৃত ব্যক্তিকে প্রমোশন দিয়ে তার অবসর ভাতা-টাতা সব দিয়ে দিল। আর গ্রেনেড হামলার পর বলে দিল কী! আমি ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়ে আত্মহত্যা করতে নিজেই নিজেকে গ্রেনেড মেরেছিলাম।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটালি পাড়ায় বোমা যখন পোঁতে তার আগে তার (খালেদা জিয়া) বক্তৃতা কী ছিল- শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা বিরোধীদলীয় নেতাও হতে পারবেন না। বলেছিল কারণ মরেই তো যাব। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে! এতোকিছুর পরেও খালেদা জিয়ার প্রতি দয়া দেখাতে আপনারা বলেন! কেউ এই প্রশ্ন করলে আমার মনে হয় আপনাদের একটু লজ্জা হওয়া উচিত- এই কথাটা অন্তত আমাকে বলার…। যারা আমার বাপ-মা, ভাই-বোন… এমনকি আমার ছোট ভাই রাসেলকে পর্যন্ত হত্যা করিয়েছে। তারপরেও আমরা অমানুষ না। অমানুষ না দেখেই আমার এক্সিকিউটিভ অথোরিটি আমার হাতে যতোটুকু আছে ততটুকু দিয়েই তাকে বাসায় থাকার, চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বাকিটা আইনগত ব্যাপার।

তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতি করে করে এই দেশটাকে একেবারে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। গ্রেনেড হামলায় ২২ জন লোক মারা গেছে, একদিন পার্লামেন্টে সেটা নিয়ে আলোচনা করতে দেয়নি। এতো বড় অমানবিক যে তাকেই আমি মানবতা দেখিয়েছি। আমার হাতে যেটুকু পাওয়ার সেটুকু দেখিয়েছি। আর কতো চান? এখন সে অসুস্থ। ওই যে বললাম না, রাখে আল্লাহ মারে কে, মারে আল্লাহ রাখে কে… সেটাই মনে করে বসে থাকেন। আমার যেটা করার ছিল করে দিয়েছি।’

আরো পড়ুন: 

উন্নত দেশের মতো খাদ্যাভাব আমাদের নেই : প্রধানমন্ত্রী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *