ধারাবাহিক থেকে ওটিটি সিরিজ— নিজের মতো কাজ করে যাচ্ছেন। সোজাসুজি বলছেন, তাঁর জনসংযোগ বড্ড খারাপ। কিন্তু যে ভাবে যেটুকু করছেন, সেই অল্পেতেই খুশি সুদীপ সরকার। কেরিয়ার থেকে বিয়ে— সব কিছু নিয়েই আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে অকপট ‘মুক্তি’র রহমত।
হাত ভর্তি কি না জানি না। তবে হ্যাঁ, ‘আলতা ফড়িং’ ধারাবাহিকে একটা ভাল চরিত্রে আছি। ‘মুক্তি’তে আমি রহমত। ‘রুদ্রবীণার অভিশাপ’-এর প্রথম সিজনের পরে দ্বিতীয় সিজনে আমার চরিত্রটা বেশ বড়। ‘সোনা রোদের গান’ ধারাবাহিকে ক্যামিও চরিত্র করছি। এ ছাড়াও আগামী কিছু সিরিজের প্রস্তুতি চলছে। সময়টা আপাতত ভালই বেশ।
হ্যাঁ, ধারাবাহিক করব তো বটেই। এখনও বাঙালি দর্শক ধারাবাহিক সেটাই বেশি দেখেন। তবে ইদানীং বেশি কাজ করছি ওটিটিতেই। নানা স্বাদের চরিত্র, নানা রকম গল্প। সেই ‘কর্কটক্রান্তি’ থেকে শুরু করে ‘নকল হিরে’ পর্যন্ত, এ বার ‘মুক্তি’, ‘রুদ্রবীণার অভিশাপ’- এখনও পর্যন্ত সিরিজে যত চরিত্র করেছি, সবক’টাতেই কাজ করে আনন্দ পেয়েছি।
এই উত্তরটা আসলে আমার কাছেও নেই। কয়েকটা ছবিতে কাজ করেছি। এক বড় প্রযোজনা সংস্থা এক বারই ডেকেছিল। কিন্তু ধারাবাহিকের কাজ থাকায় সময় দিতে পারিনি। তার পরে আর কেউ ডাকেনি। কারও কাছে গিয়ে কাজ চাইতে পারিও না আমি।
করব না কেন? অভিনয় করতে এলে এই ইচ্ছেটা তো সবারই কমবেশি থাকে। কেউ না ডাকলে কী করব? বড় পর্দায় ছোট চরিত্র করতে আমার কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু চরিত্রটা গল্পে গুরুত্বপূর্ণ হতে হবে।
সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা শেষ করার পরে আমি থিয়েটার করতাম। ‘সমকাল’, ‘পাইকপাড়া নাট্যগোষ্ঠী’র মতো দলের সঙ্গে নাটক করতে করতে পরিচালক অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহকারী হলাম ‘এখানে আকাশ নীল’ ধারাবাহিকে। তার পরে ‘আয় বৃষ্টি ঝেঁপে’ধারাবাহিকে প্রথম অভিনয়। দ্বিতীয় ধারাবাহিক ‘চ্যাম্পিয়ন’-এ আমিই নায়ক। সঙ্গে ছিল ইন্দ্রাশিস, মিমি, রাজা। ‘চ্যাম্পিয়ন’ বেশ জনপ্রিয়ও হয়েছিল সে সময়ে। ‘অগ্নিপরীক্ষা’য় ছোট্ট চরিত্রে, ‘তুমি আসবে বলে’র ভিলেন হিসেবেও দর্শক আমায় পছন্দ করেছিলেন।
খারাপ লাগার প্রশ্নই নেই। কারণ ওরা প্রত্যেকে নিজেদের ঘষেমেজে তৈরি করে এই জায়গায় পৌঁছেছে। নিজেদের পরিচিতি তৈরি করতে নানা ভাবে খেটেছে।
প্রশ্ন: আপনি সেটা করলেন না কেন?
আসলে জনসংযোগে আমি বরাবরই খুব কাঁচা। প্রযোজকদের দোরে দোরে ঘুরতে পারি না। স্টেজ শো-টাও তো সাধারণ দর্শকের সঙ্গে জনসংযোগের একটা বড় রাস্তা। এগুলো করতে না পারাটা আমার নিজেরই খামতি। তবে আমার চাহিদাটাও খুব কম। একেবারে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছি। অল্পেতেই সন্তুষ্ট। যে ভাবে টুকটুক করে এগোচ্ছি, তাতেই আমি খুশি। কাজ তো করছি যথেষ্টই। দর্শক আমায় পছন্দও করছেন।