ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে পাঁচ হাজার আফগানকে ১০ দিনের জন্য আশ্রয় দিতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। এ সময় শেষে তাদের সেখান থেকে তৃতীয় কোনো দেশে বসবাসের জন্য নেওয়া হবে। গতকাল শুক্রবার আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে আসার পর থেকেই হুমকির মুখে দেশটি ছেড়ে চলে যাচ্ছে অনেক বাসিন্দা। খবর রয়টার্সের।
আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, সামনের দিনগুলোয় কাবুল থেকে মার্কিন উড়োজাহাজে করে পাঁচ হাজার আফগানকে আরব আমিরাতে নেওয়া হবে। দেশটি এখন পর্যন্ত তাদের উড়োজাহাজ ও বিমানবন্দর ব্যবহার করে ৮ হাজার ৫০০ মানুষকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিতে সহায়তা করেছে।
চলতি মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা ও নাগরিককে ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করার কথা ছিল। সরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা করা আফগানদেরও। তবে এর আগেই ১৫ আগস্ট দেশটি তালেবানের দখলে চলে আসে। এ কারণে সেখান থেকে লোকজনকে স্থানান্তরপ্রক্রিয়া জোরদার করা হয়। তাদের মার্কিন ঘাঁটিতে সাময়িকভাবে রাখা হচ্ছিল। তবে ওই ঘাঁটির ধারণক্ষমতা পূর্ণ হয়ে যায়। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেশত্যাগ করতে চাওয়া আফগানদের সাময়িক আশ্রয় দেওয়ার জন্য ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
এ বিষয়ে কাতারের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, তাঁরা আফগানিস্তান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে সহায়তা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতে আরও আফগানকে নিরাপদে নিতে উড়োজাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে এ কাজে সহায়তায় এগিয়ে এসেছে বাহরাইনও। গতকাল দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়া লোকজনকে বহনকারী উড়োজাহাজগুলোকে দেশটিতে থামতে দেবে তারা।
তালেবানের হাতে গত রবিবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পতন ঘটে। আফগানিস্তান তালেবানের দখলে যাওয়ার পর হাজারো নাগরিক কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় করে। তারা আফগানিস্তান ছাড়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। আফগানিস্তানের ক্ষমতায় তালেবান আসার পর দেশটিতে চরম মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।