বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নিয়ে জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে ঋণগ্রস্ত দেশে পরিণত করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমাদের দারিদ্র্য বিক্রি করে ইউনূসরা নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু আমাদের দারিদ্র্য দূর হয়নি।
বুধবার (৬ অক্টোবর) দিনাজপুরের বিরল উপজেলার রাজারামপুর ইউনিয় পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন ও পুনর্ভবা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অ্যাকাডেমিক ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন আত্মনির্ভরশীল দেশ। কোনো কিছুর জন্য কাউকে সংগ্রাম করতে হয় না। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর মতো মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন ঋণ দেয়। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি দুর্বল হয়ে গেছে। রাজাপাকষে (শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী) আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন, শ্রীলঙ্কার এই অর্থনৈতিক দুরবস্থায় সাহায্য করার জন্য। বাংলাদেশ সরকার সেখানে অর্থঋণ সাহার্য করেছে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনী সুদান, সোমালিয়াসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের শান্তি রক্ষায় কাজ করছে। আমরা এখন মঞ্জুরি দেই। সুদানকে বাংলাদেশ সরকার মঞ্জুরী দিয়েছে। যেটা কখনো শোধ করতে হবে না। বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই জায়গায় গেছে। এটাই আমরা চেয়েছিলাম।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আগে বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্সের টিকিট কেটে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন দেশে যেতে হতো। এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নিজেদের বিমান নিয়ে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে সাধারণ অধিবেশনে গেছেন। এটা গর্বের ব্যাপার।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যমুনা ইকোনমিক করিডোর করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। সেখানে স্যাটেলাইট সিটি হবে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় হবে। সেভাবে তিনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তিনি ডেল্টা প্ল্যান করেছেন। ১০০ বছর কিভাবে বাংলাদেশ উন্নয়ন ধরে রাখতে পারবে, সে উন্নয়ন পরিকল্পনা তিনি দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গভর্নিং বড়ির সভাপতি গোপেন্দ্র নাথ দেবশর্মা। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র সুবজার সিদ্দিক সাগর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমা কান্ত রায়। সন্ধ্যায় প্রতিমন্ত্রী বোচাগঞ্জ কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দিরে শুভ মহালয়া উপলক্ষে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।