ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল ও বলিভিয়ার উদ্যোগে সরীসৃপ এই প্রাণীগুলোকে ছেড়ে দেওয়া হয় নদীতে। গত চার বছরে জলবায়ু পরিবর্তন, খাবার হিসেবে কচ্ছপের মাংস ও ডিমের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দেশ দুটির মধ্যে প্রবাহিত আমাজন নদীতে প্রাণিটি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। পরিবেশকে হুমকির মুখ থেকে রক্ষায় এই উদ্যোগে নেয়ে হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
গুটি গুটি পায়ে একসঙ্গে এতো কচ্ছপ পানির দিকে হেঁট যাওয়ার এ মনোরম দৃশ্য সচরাচর দেখা যায় না। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এর ভূমিকা অনেক। সম্প্রতি দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল ও বলিভিয়া প্রায় দশ লাখ কচ্ছপ ছেড়েছে আমাজন নদীতে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) স্বেচ্ছাসেবীরা দেশ দুটির মাঝ দিয়ে প্রবাহিত এই নদীতে কচ্ছপ ছাড়ার কাজটি করেন। বিগত বছরগুলোতে আবহাওয়া পরিবর্তনের পাশাপাশি নানান মুখী সমস্যার কারণে কচ্ছপ বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতেই এ উদ্যোগ বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ জানায়, আমরা ২০০৭ সালে কচ্ছপের বিলুপ্তি ঠেকাতে সুরক্ষা ও সংরক্ষণ প্রকল্প শুরু করেছি। আমরা ব্রাজিল ও বলিভিয়ার বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছি। এটি কচ্ছপের বিলুপ্তি ঠেকাতে সাহায্য করবে।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কচ্ছপের ভূমিকা অতুলনীয়। তাই এটি সংরক্ষণে উদ্যোগ নিয়েছে দেশ দুটির কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা জানায়, আমরা বুঝতে পারছি ইতেনজ নদীর কচ্ছপ প্রায় বিলুপ্তির পথে। আমরা এর বিলুপ্তি ঠেকাতে ১৩ বছর যাবৎ কাজ করে যাচ্ছি। আমরা প্রতি বছরই এক লাখ নারী কচ্ছপ উন্মুক্ত করে থাকি। এ বছর দশ লাখ নতুন কচ্ছপ জন্মাবে বলে আমরা আশাবাদী।
বলিভিয়ার আদিবাসীরাও সৈকতের পরিবেশ ঠিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন, যেন কচ্ছপ সঠিকভাবে প্রজনন করতে পারে।
আরো পড়ুন: