একাধিকবার জামিনের শুনানিতে হেরে গেছেন আরিয়ান খানের আইনজীবী সতীশ মানিশিন্দে।
যে কারণে শাহরুখপুত্রের এখন ঠিকানা মুম্বাইয়ের আর্থার রোডের জেলে বন্দীজীবন পার করছেন। আগামী মঙ্গলবার ফের জামিনের শুনানি চলবে। সেদিন আরিয়ান জামিন পাবেন কি? তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মূলত আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটকে পুঁজি করেই জিতে যাচ্ছে ভারতের মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি)।
প্রভাবশালী হওয়ায় জামিন পেলে তথ্যপ্রমাণ নয়ছয় করতে পারেন তিনি— জামিনের আবেদন খারিজ করার সময় এনসিবির এই যুক্তিতে বারবারই সহমত দিয়েছেন বিশেষ আদালতে।
কিন্তু যেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটকে ঘিরে এতো যুক্তি দাঁড় করেছে এনসিবি — তার কোনো ভিত্তি নেই বলে দাবি আরিয়ানের।
আরিয়ান দাবি করেছেন, তার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভুল ব্যাখ্যা করছে এনসিবি। তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
জামিনের জন্য আবেদন করে হাইকোর্টকে এমনই বললেন শাহরুখপুত্র। বুধবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আরিয়ান। ২৬ অক্টোবর তার জামিনের শুনানি।
সেখানে আরিয়ান বলেন, আমার হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনকে ‘ভুল এবং অন্যায়’ ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ওই পার্টিতে আমার কাছ থেকে কোনো মাদক পায়নি এনসিবির গোয়েন্দারা। ওই পার্টিতে আসা আরবাজ শেঠ মার্চেন্ট ছাড়া আর কারও সঙ্গেই পরিচয় নেই আমার। হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের উপর ভিত্তি করে এনসিবি যে তদন্ত চালাচ্ছে, তার সঙ্গে এই মাদককাণ্ডের কোনো যোগসূত্র নেই। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আইনত আগে থেকেই ধরে নেওয়া যায় না যে একজন ব্যক্তি প্রভাবশালী হলেই তিনি তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করবেন।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত মাদককাণ্ডে মোট ২০ জনকে গ্রেফতার করেছেন এনসিবি। এরই মধ্যে আরিয়ানের সেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের জেরে তৃতীয় দফায় তলব করা হয়েছে বলিউডের উঠতি অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডেকে। সোমবার তাকে তলব করা হয়।
আরিয়ান খানের বাল্যবন্ধু অনন্যা। এনসিবির কর্মকর্তাদের দাবি, একটি কথোপকথনে আরিয়ানকে গাঁজার যোগান দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন অনন্যা।
ওই কথোপকথনে অভিনেত্রী লিখেছিলেন, ‘আমি ব্যবস্থা করব।’
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, আনন্দবাজার পত্রিকা