ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: তার টেস্ট ক্যারিয়ারে যতিচিহ্ন দেখে ফেলেছিলেন অনেকেই। ছিলেন না জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য ঘোষিত টেস্ট স্কোয়াডেও। কিন্তু দেশ ছাড়ার আগে আচমকাই যুক্ত করা হয় তাকে, গতকাল বুধবার রাখা হয় একাদশেও। দিন শেষের হিসাব বলছে, হারারে টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশ দলকে বিপদ থেকে উদ্ধারের অন্যতম নায়ক ছিলেন ১৭ মাস পর টেস্ট খেলতে নামা মাহমুদুল্লাহই। ১৩২ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর লিটন দাসের সঙ্গে গড়েছেন ১৩৮ রানের জুটি, ব্যক্তিগতভাবে পঞ্চাশের মাইলফলক স্পর্শ করে অপরাজিত আছেন ৫৪ রানে।
এক যুগ আগে টেস্টে পা রাখা মাহমুদুল্লাহ হারারেতে খেলছেন ক্যারিয়ারের ৫০তম টেস্ট। ৪৯তম ম্যাচটি খেলেছিলেন গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে। টি২০ দলের নেতৃত্বে থাকা এই ব্যাটসম্যান টেস্টে বেশ কিছুদিন ধরে রান পাচ্ছিলেন না। ২০১৯ সালের মার্চে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ৬৭ রানের ইনিংসের পর টানা আট ম্যাচ চল্লিশের ঘরে পৌঁছতে পারেননি। যার দরুণ বাদ পড়েন গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়ে সিরিজে। করোনার পর বাংলাদেশ দলের উইন্ডিজ আর শ্রীলঙ্কা সিরিজেও টেস্ট ফরম্যাটে জায়গা মেলেনি তার। কিন্তু হঠাৎ করেই তাকে জিম্বাবুয়ে সফরের টেস্ট স্কোয়াডভুক্ত করা হয়।
বুধবার হারারেতে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ ৮ রানের মধ্যে সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তকে হারানোর পর প্রাথমিক ধাক্কা সামলায় মুমিনুল হক-সাদমান ইসলামের ব্যাট। তবে ৬০ রানের জুটিটি ভাঙার পর আবার খেই হারায় বাংলাদেশের ব্যাটিং। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ১১ আর সাকিব আল হাসান ৩ রান করে ফেরার পর মুমিনুল আউট হন ব্যক্তিগত ৭০ রানে। দুইশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা যখন সম্মুখে, তখনই লিটনকে নিয়ে দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিংয়ে জুটি গড়েন মাহমুদুল্লাহ। বিপর্যয় সামলে লিটন রান তোলায় মনোযোগী হলে ধরে রাখেন এক প্রান্ত। যে কারণে ১৪৭ বল খেলে লিটন ৯৫ রান করলেও ১৪১ বল খেলে ৫৪ রান তার। এটি তার ক্যারিয়ারের ১৭তম ফিফটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (প্রথম দিন শেষে)
বাংলাদেশ: ৮৩ ওভারে ২৯৪/৮ (সাইফ ০, সাদমান ২৩, শান্ত ২, মুমিনুল ৭০, মুশফিক ১১, সাকিব ৩, লিটন ৯৫, মাহমুদুল্লাহ ৫৪*, মিরাজ ০, তাসকিন ১৩*; মুজারাবানি ৩/৪৮, এনগ্রাভা ১/৩৬, তিরিপানো ২/৩৬, নায়ুচি ২/৬৯)