ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব কাতার করবে। একজন সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার এ বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
তিনি জানান, আফগানিস্তানে ওয়াশিংটন ও তালেবান সরকারের মধ্যে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের সুবিধার্থে শুক্রবার কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি চুক্তি সই হবে।
চুক্তিটি আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। আফগানিস্তান দূতাবাসের কিছু কর্মীকে কাতার যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিয়োজিত করবে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও দোহায় যুক্তরাষ্ট্র মিশনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশ গুলোসহ অনেক দেশ তালেবানকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে রাজি নয়। রাজনৈতিক ও জাতিগত অন্তর্ভুক্তির অঙ্গীকার থেকে পিছিয়ে থাকা এবং নারী ও সংখ্যালঘুদের পাশে না রাখার জন্য তালেবানদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন।
আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহারের পর নতুন এ চুক্তির মাধ্যমে ভবিষ্যতে ওয়াশিংটন ও কাবুলের মধ্যে একটা কূটনৈতিক যোগাযোগ তৈরি হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র কাতারের রাজধানী দোহার মাধ্যমে তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে। কাতার আমাদের নাগরিকদের সীমিত কনস্যুলার পরিষেবা প্রদানে এবং আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষায় সহায়তা করবে।’
কনস্যুলার সহায়তার মধ্যে পাসপোর্টের আবেদন নেওয়া, নোটারি করা, তথ্য দেওয়া ও জরুরি পরিস্থিতিতে সাহায্য করার মতো সহযোগিতা থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
আরো পড়ুন: