আটকে পড়া ২৮ বাংলাদেশি নাবিক আজ ফিরছেন
রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্ট থেকে আটকে পড়া ২৮ বাংলাদেশি নাবিক আজ ফিরছেন দেশে। বুখারেস্ট থেকে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত ১০টায় টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তাঁরা প্রথমে ইস্তাম্বুল পৌঁছবেন।
সেখান থেকে আরেকটি ফ্লাইটে আজ সকাল ১০টায় ঢাকায় পৌঁছবেন তাঁরা। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং নাবিকদের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই ২৮ নাবিক বাংলার সমৃদ্ধিতে কর্মরত ছিলেন। ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে বোমা হামলায় জাহাজটি অচল হয়ে যায়। একই সঙ্গে মারা যান জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান। আজ ২৮ নাবিক দেশে ফেরার কথা থাকলেও নিহত নাবিককে দেশে ফিরিয়ে আনতে আরো কয়েক দিন সময় লাগবে।
বিএসসির মহাব্যবস্থাপক (চার্টারিং) ক্যাপ্টেন মুজিবুর রহমান বলেন, ‘একটি বিশেষ বিমানে সব নাবিক একসঙ্গে বুধবার সকালে দেশে পৌঁছবেন বলে আশা করছি। সেভাবে প্রক্রিয়া এগিয়েছে। এখন নিরাপদে তাঁরা দেশে ফিরলেই স্বস্তি ফিরবে। ’
হাদিসুর রহমানের লাশ দেশে কবে ফিরবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁর মরদেহ দেশে ফিরতে কিছু প্রক্রিয়া বাকি আছে। সে জন্য একসঙ্গে আনা সম্ভব হচ্ছে না। প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শিগগিরই তাঁর মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
হাদিসুর রহমানের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে আরো এক সপ্তাহ লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। ফলে হাদিসুর রহমানের মরদেহ যথাযথ অনুমোদন ছাড়া দেশে ফিরিয়ে আনতে গেলে মাঝপথে নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হবে। আবার ইউক্রেনের অনুমতিও দ্রুত মিলছে না। ফলে মরদেহ সড়কপথে ইউক্রেন থেকে মলদোভা হয়ে রোমানিয়ায় পৌঁছানোই জটিল হয়ে পড়েছে। ’
সিরামিকশিল্পের কাঁচামাল আনতে গিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় আটকা পড়ে বাংলাদেশের জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’। এ অবস্থায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে ২ মার্চ রাতে জাহাজটি বোমা হামলার শিকার হয়। হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান নিহত হন।
‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ওমর ফারুক তুহিনের ছোট ভাই ওমর শরীফ তুষার বলেন, ‘ভাইয়া আমাদের বলেছেন, মঙ্গলবার রাতে দেশে ফেরার প্রস্তুতির কথা। কিন্তু কোন ফ্লাইটে কিভাবে দেশে আসবেন সেসব বিষয়ে জানাননি। ’