নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুজন আহম্মেদ। বাড়ি লালমনিরহাট। আটকে থাকা পরীক্ষা দিতে গত মাসে এসেছিলেন চট্টগ্রামে। লকডাউনের কারণে পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্তের আগেই দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। তাই তার বাড়ি ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাসের ব্যবস্থা করায় তিনি বাড়ি যেতে পারছেন।
বুধবার সকালে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রবান্ধব একটা কাজ করেছে। প্রশাসন বাসের ব্যবস্থা না করলে ঈদটাও হয়ত পরিবারের সঙ্গে করা হত না। এখন বেশ ভালো লাগছে।
সুজনের মতো অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে বিভাগীয় শহরে পৌঁছেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন দফতর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় স্মরণ চত্বর থেকে রংপুর বিভাগ, রাজশাহী বিভাগ, ময়মানসিং বিভাগ, সিলেট বিভাগে একটি করে, ঢাকায় দুটি, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য মাওয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত একটি বাস দেওয়া হয়েছে। এর আগে চলতি মাসের ১৪ তারিখ থেকে স্থগিত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সে অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফেরে। তবে লকডাউনের কারণে গত ২৬ তারিখ ফের সকল পরীক্ষা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। একদিকে পরীক্ষা স্থগিত অন্যদিকে গাড়ি বন্ধ। এতেই বিপাকে পড়ে শিক্ষার্থীরা। ওই দিন শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেয় ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ। এরপর ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দও একই দাবি তোলে।
কিশোরগঞ্জ পৌঁছে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রানা আহম্মেদ বলেন, ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমাদের বাড়ি পৌঁছে দিতে তাদের ভূমিকা প্রশংসনীয়। বিশ্ববিদ্যলয় প্রশাসনও আন্তরিকতার পরিচয় দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রথমে চারটি বাস দিতে সম্মত হয়েছিলাম। তবে বাড়ি ফেরা শিক্ষার্থীদের সংখ্য বেড়ে যাওয়ায় আরও তিনটি বাস দিয়েছি। শিক্ষার্থীদের বাসে তুলে দিয়ে বাস ছাড়া পর্যন্ত আমাদের সহকারী প্রক্টরবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।’