নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: আজ বুধবার শুভ মহালয়া। এর মধ্য দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো। এই দিনে কৈলাস থেকে মা দুর্গা পিতৃগৃহে আগমন করবেন। দেশজুড়ে মন্দিরে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ শুরু হবে।
করোনার প্রাদুর্ভাব কমায় এবার উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে। তবে করোনা সংক্রমণ এড়াতে গত বছরের মতো এবারও সব মণ্ডপে বাড়তি সতর্কতা থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলবে পূজা অর্চনা। দেশজুড়ে প্রায় ৩২ হাজার ১১২টি পূজামণ্ডপে আজ সকাল ৬টায় মহালয়ার ঘট স্থাপন এবং সকাল ৯টায় বিশেষ পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
দেবী দুর্গার আগমনে বিভিন্ন মণ্ডপে ধূপের ধোঁয়ায় ঢাক-ঢোলক, কাঁসর, পুরোহিতের ভক্তিকণ্ঠে ‘যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেন সংস্থিতা-নমস্তৈস্য নমস্তৈস্য নমঃ নমঃ’ মন্ত্র উচ্চারণে কৈলাস ছেড়ে মা দুর্গা পিতৃগৃহে আসবেন ঘোড়ায় চড়ে, আর ফিরে যাবেন দোলায় বা পালকিতে।
পঞ্জিকা মতে, পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব আগামী ১১ অক্টোবর সোমবার ষষ্ঠীতে দশভুজা দেবী দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে। প্রতিবছর ষষ্ঠীর আগে পঞ্চমীর দিন সন্ধ্যায় বোধনের মধ্য দিয়ে দেবীর আগমনধ্বনি অনুরণিত হলেও এবার তা হচ্ছে না। পঞ্চমী ও ষষ্ঠী তিথি একই দিনে পড়ায় দুই দিনের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান একই সঙ্গে উদযাপিত হবে।
মহালয়া উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশজুড়ে বিভিন্ন মন্দির ও পূজা কমিটি নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। সকাল ৬টায় ঢাকেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় মহালয়ার ঘট স্থাপন, সকাল ৯টায় চণ্ডীপাঠ এবং সকাল ১১টা পর্যন্ত বিশেষ পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মহালয়া : পিতৃপূজা ও মাতৃপূজার সন্ধিলগ্ন