আজ বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস

আজ বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস। মশাবাহিত রোগ ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেশি দেখা যায় বর্ষকালে। সীমান্তবর্তী, পাহাড় ও বনাঞ্চলবেষ্টিত হওয়ায় তিন পার্বত্য জেলা বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে এর প্রকোপ বেশি। ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরার পর প্রতিবছর ১০ হাজার মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়।

এই রোগের প্রধান লক্ষণ কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা।

কারণ

জীবাণু সংক্রমিত মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া হয়। মশা কামড়ানোর ১০ থেকে ১৫ দিন পর ম্যালেরিয়া রোগের উপসর্গ দেখা দেয়।

লক্ষণ

♦ জ্বর

♦ অস্বস্তি

♦ ঠাণ্ডা অনুভূত হওয়া

♦ মাথা ব্যথা

♦ বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া

♦ ডায়রিয়া

♦ তল পেটে ব্যথা

♦ মাংসপেশি বা জয়েন্টে ব্যথা

♦ ক্লান্তি

♦ শ্বাসকষ্ট

♦ হৃদস্পন্দনের গতি বৃদ্ধি

♦ কাশি

করণীয়

মশার কামড় এড়াতে মশারি ব্যবহার করতে হবে। বড় হাতার জামাকাপড় পরতে হবে। ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকায় ভ্রমণের পর জ্বর এলে অবহেলা করা যাবে না। ৪৮ ঘণ্টা পর পর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর এলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ব্লাড ফিল্ম বা রক্ত অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া শনাক্ত করা যায়।

প্রয়োজনে রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে। চিকিৎসা নিতে দেরি করলে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুও ঘটতে পারে। তাই ম্যালেরিয়া হলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা নিতে হবে। কুইনাইন বা আর্টিমেসিনিন গ্রুপের ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী ওষুধ দিয়ে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়।

ম্যালেরিয়ার টিকা অনুমোদন পেলেও এখনো তা সহজলভ্য নয়। তাই প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধে বেশি জোর দিতে হবে। ম্যালেরিয়া হলে বেশি করে তরল খাবার খেতে হবে। প্রচুর পানি খাবেন। দেহে শক্তি ধরে রাখতে আঁশযুক্ত খাবার খাবেন। বিভিন্ন রকম মসলা যেমন আদা, দারুচিনির গুঁড়া কিংবা মেথি ভেজানো পানি খেতে পারেন।

মায়োক্লিনিক অবলম্বনে দাওয়াই ডেস্ক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *