প্রচ্ছদ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব শান্তি সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আজ শনিবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে দু’দিনের বিশ্ব শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় ৯১টি দেশের শান্তি কর্মীরা এ সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন ‘উন্নয়নের জন্য শান্তি অপরিহার্য’।

উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান ছাড়াও সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার মহান ব্রতে নিয়োজিত বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, শিল্পী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিজীবী প্রমুখ এর উপস্থিতি ও অংশগ্রহণে চারটি প্যানেলে নির্ধারিত বিষয়ের উপর আলোচনা করা হবে।

দু’দিনব্যাপী আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর শান্তি দর্শনের আলোকে শান্তির সাথে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোচনা করা হবে। ‘ঢাকা শান্তি ঘোষণা’ শীর্ষক একটি সর্বসম্মত ঘোষণার মাধ্যমে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘটবে।

করোনা মহামারিজনিত সমস্যার কারণে দু’দিনব্যাপী এই সম্মেলন মিশ্র মাধ্যম-ভার্চুয়াল ও সশরীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনস্থল হিসেবে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল, হোটেল সোনারগাঁ ও ফরেন সার্ভিস একাডেমি, সুগন্ধা-কে নির্বাচন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য বিবেচনায় সম্মেলনের ৪ ডিসেম্বর উদ্বোধনী ও ৫ ডিসেম্বর সমাপনী অনুষ্ঠানে যথাক্রমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন। উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে খ্যাতিমান কয়েকজন অতিথি ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থাকবেন।

বর্ণিত সম্মেলনে সশরীর ও ভার্চুয়াল উপস্থিতি মিলিয়ে ৫০ এর অধিক দেশের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। আমন্ত্রিত অতিথি বর্গের মধ্যে ৩০টির বেশি দেশ হতে ৫৯ জন বিদেশি অতিথি সম্মেলনে যোগদানের জন্য বাংলাদেশে আগমন করবেন। ৪০ জনের মত অতিথি ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হবেন বলে আশা করছি। কিছু সংখ্যক অতিথি ভিডিও বার্তা প্রেরণ করবেন।

সম্মেলনের উদ্দেশ্যের সাথে মিল রেখে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এবং সম্মেলনের পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিভিন্ন পার্শ্ব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে এবং হবে। ইতোমধ্যে দেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় যথা- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি)- এ সেমিনার, জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে চলচ্চিত্র উৎসব এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে দেশের বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটারদের সমন্বয়ে গঠিত দুটি দলের মধ্য মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে একটি প্রীতি ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা হয়। এছাড়া আমরা সম্মেলনের সময় দুটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি একটি ‘আর্ট ক্যাম্প’, দর্শনীয় স্থানাদি পরিদর্শন, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সামগ্রীর প্রদর্শনী ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আরো পড়ুন:

বন্যা প্রতিরোধী ভাসমান শহর তৈরি করছে দক্ষিণ কোরিয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *