নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: বাংলাদেশে ফাইজার বায়োএনটেকের কোভিড টিকা প্রয়োগ শুরু হচ্ছে আজ ২১ জুন থেকে। প্রাথমিক অবস্থায় ঢাকার তিনটি হাসপাতালে এই টিকা প্রদান করা হবে। রোববার (২০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা জানানো হয়।
প্রাথমিক অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এই টিকার ট্রায়াল বা ফার্স্ট-রান শুরু করা হচ্ছে। প্রতিদিন ১২০ জনকে টিকা দেয়া হবে। সেক্ষেত্রে যারা আগে থেকে নিবন্ধন করেছেন, কিন্তু টিকা দিতে পারেননি তারাই অগ্রাধিকার পাবেন।
টিকার দেয়ার পর এক সপ্তাহ ধরে গ্রহীতাদের ওপর টিকার প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপর মূল্যায়নের প্রেক্ষিতে টিকা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করে প্রদান শুরু হবে। তখন হাসপাতালের সংখ্যা বাড়ানো হবে। যিনি প্রথম ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা পাবেন তাকে দ্বিতীয় ডোজ হিসেবেও সেটাই দেয়া হবে।
কোভ্যাক্সের মাধ্যমে জুনের শুরুতে মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের তৈরি এক লাখ ছয়শ’ বিশ ডোজ টিকা এসে পৌঁছায় বাংলাদেশে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছিল ফাইজারের টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। এত কম তাপমাত্রায় টিকা সংরক্ষণের হিমাগার ঢাকার বাইরে নেই, সে কারণে শুধু ঢাকাতেই এ টিকা দেয়া হবে।
মে মাসে ইংল্যান্ডের পাবলিক হেলথের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ফাইজারের টিকা দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার পর সেটি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণ ঠেকাতে ৮৮ শতাংশ কার্যকর। আর যুক্তরাজ্য ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে সেটি ৯৩ শতাংশ কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ফেব্রুয়ারি মাসের ৭ তারিখে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা প্রদান কর্মসূচি শুরু হয়। কোভিশিল্ডের এক কোটি দুই লাখ ডোজ টিকা পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ভারত থেকে টিকা আসা অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য আরও চারটি টিকার অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
ফাইজারের টিকা ছাড়াও দুই দফায় চীনের সিনোফার্মের তৈরি করোনাভ্যাক টিকার ১১ লাখ ডোজ টিকা এসেছে দেশে। যা ১৯ জুন থেকে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এ পর্যায়ে প্রতি জেলায় একটি কেন্দ্রে চীনের সিনোফার্মের টিকা দেয়া হবে।