নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ট্রাজেডি শুধু জাতীয় বিপর্যয় নয়, এটি ছিল একটি মানবসৃষ্ট বিশ্ববিপর্যয়। হিমালয় হিমু এক উন্মাদনার বসে ধ্বংসস্তুপ থেকে আহত ও নিহত লোকজনকে সরিয়ে আনছিল। হাতুড়ি-ছেনি-করাত দিয়ে বের করে আনছিল একেকটি জীবিত ও মৃত মানুষ।
রানা প্লাজা ধসের পর স্বেচ্ছাসেবক নওশাদ হাসান হিমু গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন। হয়তো বিচার না হওয়ার ক্ষোভ ছিল তার, তাই তাজরীনের আগুনের মতো, নিমতলীর মতো, নুসরাতের আগুনের মতো মৃত্যু বেছে নিল সে।
কী ভয়ঙ্কর সেই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু! প্রয়াত হিমু স্মরণে বাতিঘরের নতুন নাটক ‘হিমুর কল্পিত ডায়েরী’ নিয়ে এভাবেই বলেন, নাট্যকার সঞ্জয় সরকার মুক্তনীল।
রানা প্লাজা ধসের পর নিজের হাতে অনেকের হাত-পা কেটে উদ্ধার করেছিলেন নওশাদ হাসান হিমু ওরফে হিমালয় হিমু। ঘটনার শুরুর দিন থেকে প্রায় পনের দিন, দিনরাত ছিলেন সেখানেই। পরবর্তীতে আরও টানা ১৭দিন কাটিয়েছেন হাসপাতালে। সেবা-শুশ্রষা করেছেন পঙ্গু রোগীদের। কিন্তু মৃত্যুপুরীর সেই দুঃসহ স্মৃতি সে আর ভুলতে পারেনি। প্রতিনিয়ত চোখের সামনে ভেসে উঠতো সে সকল ভয়াবহ স্মৃতি।
গল্পের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে মুক্তনীল জানান, হিমুর মতো যারা স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করেছে, তাদের মানসিক সুস্থতার কোনো দায়ভার রাষ্ট্র নেয়নি। সেই কথা আবারও স্মরণ করিয়ে দেবে এই নাটক।
সেগুনবাগিচার জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে আগামী ০২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চস্থ হবে ‘হিমুর কল্পিত ডায়েরী’।
নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় আছেন- মুক্তনীল, মঞ্চে: হিমু চরিত্রে সাদ্দাম রহমান এবং বাতিঘরের আরো অনেকে। সঙ্গীত: মুহিয়ান অঞ্জন, আলো: তানজিল আহমেদ/আজাদ, প্রযোজনা অধিকর্তা: শাহানা জয়।
আরো পড়ুন: