আইপিএলে ইতিহাস গড়লেন রাজস্থানের অশ্বিন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের আইপিএলে ইতিহাস গড়লেন রাজস্থানের অশ্বিন লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে। আউট না হয়েও ফিরে গেলেন প্যাভিলিয়নে। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো দ্রুত রান তোলার জন্য ‘রিটায়ার্ড আউট’ হন তিনি।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুত রান তুলতে বিশ্ব ক্রিকেটে চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে রিটায়ার্ড হার্ট করানো হয় অশ্বিনকে। এর আগে পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি, ভুটানের সোনাম টোবগে আর বাংলাদেশের সানজামুল ইসলামকে কৌশলগত কারণে তুলে নেওয়া হয়েছিল। সানজামুলেরটা ২০১৯ সালের বিপিএলের ঘটনা। আর আইপিএলে এই প্রথম এমন কিছু ঘটল।

রোববার (১০ এপ্রিল) রাতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথমে বেশি সুবিধা করতে পারেনি রাজস্থান। হেটমায়ার ও অশ্বিন রাজস্থানের ইনিংসকে ধরে রেখেছিলেন। কিন্তু বড় রান বোর্ডে তুলতে চাই বড় শট। তাই ডাগআউট থেকে সিগনাল এলো আম্পায়ারকে বলে মাঠ ছাড়ার। আর অশ্বিন সেটাই করলেন।

প্রথম তিন ম্যাচের নায়ক জস বাটলার এদিন ফিরে যান মাত্র ১৩ রান করে। অধিনায়ক সাঞ্জু সামসনও ১৩ করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।

পঞ্চম উইকেটে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে নিয়ে ৫১ বলে ৬৮ রানের জুটিতে দলকে অনেকটা এগিয়ে দেন হেটমায়ার। তবে ২৩ বলে ২৮ রান করে আহত অবসরে যান অশ্বিন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুত রান তুলতে রিটায়ার্ড হার্ট করানো হয় অশ্বিনকে, যা আইপিএল ইতিহাসে প্রথম।

অশ্বিন ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৩ বলে ২৮ রান করে মাঠ ছাড়েন। ১৮.২ ওভারে আবেশ খানের বলে ১ রান নেওয়ার পরেই আম্পায়ারকে জানিয়ে সোজা সাজঘরে ফিরে যান তিনি। বোলার আবেশ খান প্রাথমিকভাবে বুঝতেই পারেননি কী ঘটেছে। পরে তিনি উপলব্ধি করেন বিষয়টি।

আসলে দরকারের সময় রাজস্থান ইনিংসকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে নিজের ভূমিকা যথাযথ পালন করেন অশ্বিন। শেষবেলায় যাতে দ্রুত রান তোলা যায়, সেই উদ্দেশ্যেই তিনি ব্যাট ছেড়ে দিয়ে ক্রিজে ডেকে নেন রিয়ান পরাগকে। দলের ভালোর জন্য অশ্বিনের এটি ছিল সুচিন্তিত পদক্ষেপ।

তবে হেটমায়ার একটা প্রান্ত ধরেই রেখেছিলেন। অশ্বিন বেরিয়ে যাওয়ার পরের দুটি বলেই ছক্কা হাঁকান হেটমায়ার। ১৭ ওভার শেষে রাজস্থান রয়্যালসের স্কোর বোর্ডে ছিল ৪ উইকেটে মোটে ১১৫ রানে। ২৫ বলে ২১ রানে ব্যাটিংয়ে ছিলেন হেটমায়ার। ক্যারিবীয় এ ব্যাটার শেষ তিন ওভারে রীতিমতো তাণ্ডব দেখান। শেষ ওভারে একটি ছয় মারেন অশ্বিন ফেরার পর নামা রিয়ান। ৮ রান নিয়ে রিয়ান সাজঘরে ফেরেন। এরপর ট্রেন্ট বোল্টের নামের পাশে যোগ হয় ২ রান।

হেটমায়ারের ঝড়ো এক হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ১৬৫ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় রাজস্থান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলের বোল্টের বলে বোল্ড হন অধিনায়ক রাহুল। বোল্ট দ্বিতীয় ওভারেই তুলে নেন কৃষ্ণাপ্পা গৌথামকে। এরপর নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে লাখনৌ।

তবে শেষ দিকে ক্রুনাল পান্ডেয়ার ১৫ বলে ২২ এবং মার্কাস স্টোইনিসের অপরাজিত ১৭ বলে ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংসে জয়ের আশা দেখছিল তারা। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। তবে স্টোইনিস ও আভেস খান শেষ ওভারে ১১ রান নিতে সক্ষম হয়। অবশেষে ৩ রান দূরে থামে লখনৌ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *