অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের গৌরব সমুন্নত রাখতে সাংস্কৃতিক আন্দোলন জোরদার করতে হবে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

প্রতারণা মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী দবির উদ্দিন আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য আবেদন জানানো হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। upay আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। বিচার শুরু হওয়া অপর আসামি হলেন, রিজেন্ট কেসিএস লি. এর জেনারেল ম্যানেজার শিপন আলী। অভিযোগ থেকে জানা গেছে, শিপন আলী ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর বাদীর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ১৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ৫০ লাখ সিএফটি বালু সরবরাহের অর্ডার করেন। শিপন আলী বাদী পূবালী ব্যাংকের তিনটি চেক প্রদান করেন। এদিকে অর্ডার অনুযায়ী এস এম শিপন ৬১ লাখ টাকার বালু সরবরাহ করেন। পরবর্তীতে চেকগুলো ব্যাংক থেকে ডিসঅনার হয়। শিপন আলীর কাছে বাদী বিল দাবি করলে দেই, দিচ্ছি বলে তাকে ঘুরাতে থাকে। পরবর্তীতে শিপন আলী জানান রিজেন্ট চেয়ারম্যান সাহেদ এবং প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজের নির্দেশে বালুর অর্ডার দেন। ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি টাকা চাইলে সাহেদ ও মাসুদের কাছে বাদীকে নিয়ে যান শিপন। সেখানে আসামিরা তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে অফিস থেকে বের করে দেয়। বাদী বুঝতে পারেন, তারা বালু বিক্রির ৬১ লাখ টাকা প্রতারণা করে আত্মসাৎ করেছেন। ২০২০ সালের ২৪ জুলাই বালু ব্যবসায়ী এস এম শিপন দুই আসামির বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালে ৮ নভেম্বর তিনজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির পুলিশের পরিদর্শক আকরাম হোসেন। এমএন/এসকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের গৌরব সমুন্নত রাখতে সাংস্কৃতিক আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতি বিনির্মাণে সংবিধানে চার মূলনীতি দিয়ে গেছেন। জাতি বিনির্মাণের জন্য এই চার নীতি প্রধানতম দিকনির্দেশনা বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ‘বাংলাদেশে আন্তধর্মীয় সম্প্রীতির চ্যালেঞ্জ : সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র সভাপতি শাহরিয়ার কবির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত, বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোটের সভাপতি হাফেজ মওলানা জিয়াউল হাসান, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, চট্টগ্রামের শঙ্কর মঠ ও মিশন সীতাকুন্ডের অধ্যক্ষ  স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ, সুপ্রিম সংঘ কাউন্সিল অব বাংলাদেশের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভদন্ত এস লোকজিৎ থেরো, বিশ্ব ধর্ম সংস্কৃতি বিভাগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ফাদার ড. তপন ডি রোজারিও বক্তৃতা করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর পরাজিত শক্তির এদেশীয় দোসররা সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করে। একাত্তরের পরাজিত শত্রুদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেয়া হয়। একুশ বছরের জঞ্জাল অপসারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেনতার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজ শুরু করেন। তার প্রায় ১৭ বছরের  শাসনের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক জাতি হিসেবে বিশ্বে অনুকরণীয় দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। পাশাপাশি উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বলে মন্ত্রী  উল্লেখ করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার বলেন, ৭২’র সংবিধান বক্ষে ধারণ করেছি। রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক এই দুইয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগিয়ে নেওয়াই  আমাদের প্রত্যাশা।

দেশের প্রথম ডিজিটাল সংবাদ সংস্থা আবাস এর প্রতিষ্ঠাতা, সাংবাদিক মোস্তাফা জব্বার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টিকারীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সারাদেশে প্রতিটি থানায় ডিজিটাল অপরাধ দমনে বিশেষায়িত জনবল বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

শাহরিয়ার কবির বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ হাজার বছরের। এই ঐতিহ্যের দর্শন হচ্ছে ৭২ সালের সংবিধান। তিনি ধর্মের অপব্যবহার সম্পর্কে সকলকে সচেতন থাকার আবেদন জানান। বক্তারা পৃথিবীতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ধর্মের অপব্যবহারের কারণে অশান্তি হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *