খেলাধুলা

‘অলরাউন্ডার’ বাটলারের হাতেই সেরার পুরস্কার

শিরোনাম দেখে আপনি চমকে যেতেই পারেন। কিপিং গ্লাভস ছেড়ে জস বাটলার আজ কি বোলিং করতে নেমেছিলেন নাকি! আসলে তা নয়, ঐতিহাসিক সেঞ্চুরির পাশাপাশি লঙ্কানদের দুটো রানআউটেও অবদান রেখেছেন তিনি।

বাটলারের এই অতিমানবীয় পারফরম্যান্সে শ্রীলঙ্কাকে ২৬ রানে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালে পৌঁছাল ইংল্যান্ড। সেঞ্চুরি ও দুটো ডিসমিসালের কারণে হলেন ম্যাচসেরাও।

শারজায় টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া ইংল্যান্ড ব্যাটারদের শুরু থেকেই লঙ্কান বোলিংয়ের সামনে হাঁটু কাঁপাকাঁপি হতে থাকে।

বিশেষত ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ঘূর্ণিতে ‘চোখে সর্ষে ফুল’ দেখতে থাকে ইংল্যান্ড। সেন্ডেটরি পাওয়ার প্লেতে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৩৬, যার দুটি নিয়েছিলেন হাসারাঙ্গা।

ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে লঙ্কান বোলারদের সামনে ঢাল হয়েছিলেন বাটলার। একের পর এক চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে দিশেহারা হয়ে যান লঙ্কান বোলাররা। ইনিংসের শেষ বলে দুষ্মন্ত চামিরাকে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মেরে রেকর্ডবুক তছনছ করা সেঞ্চুরি করেন ইংলিশ উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

ব্যাটিংয়ের মতো উইকেটের পিছনেও দুর্দান্ত ছিলেন বাটলার। ১৬৪ রান তাড়া করতে নামা লঙ্কান ইনিংসের তৃতীয় বলেই উইকেটের দেখা পায় ইংল্যান্ড। পাথুম নিশাঙ্কাকে অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যানের সঙ্গে মিলে রানআউটের ফাঁদে ফেলেন বাটলার।

আর ১৮ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দুর্দান্ত ডিরেক্ট থ্রোতে সেট ব্যাটার অধিনায়ক দাসুন সানাকাকে রানআউট করেন তিনি। এতেই ম্যাচ থেকে অনেকখানি ছিটকে যায় লঙ্কানরা। আর এই সানাকার টানা তিন বলে ১৬ রান নিয়ে ‘সাইক্লোন’ চালিয়েছিলেন ওই বাটলারই।

যারা ব্যাটিং-বোলিং দু’টোই করেন, ক্রিকেটের ভাষায় তাদের অলরাউন্ডার বলা হয়। সে হিসেবে বাটলারের অলরাউন্ডার হওয়ার সম্ভাবনা নেই, একথা যেমন সত্য। ঠিক একইভাবে আজ বাটলার ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি যেভাবে দুটো রানআউট করেছেন, তাতে ‘অলরাউন্ডার’ না বলে কি কোনো উপায় আছে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *