ধূমকেতু ডেস্কঃ ২০১৯ সাল হবে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম সুখের বছর। আর সেটি অর্থনীতির স্বাধীনতা সূচকে। এ বছর এই সূচকের প্রবৃদ্ধির হার হবে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। দ্য গ্লোবাল ইকোনমিস্ট ফোরাম (জিইএফ) সম্প্রতি দেয়া এ তথ্যে এমনটি জানা গেছে।

জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসোক) সংস্থা জিইএফ সম্প্রতি ২০১৯ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাস দিয়েছে। এতে তারা বাংলাদেশ সম্পর্কেও পূর্বাভাস দিয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মার্কিন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে।
এতে বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বাড়তে পারে। দেশে যেসব অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি হচ্ছে, সেখানে এই বিনিয়োগ আসতে পারে বলে তারা মনে করছে।

তবে তারা বলেছে, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের উৎপাদন খুব বেশি হবে না, তাই এ থেকে রাজস্ব আয়ও বেশি হবে না। বেসরকারি খাতের বিকাশও খুব বেশি হবে না। কিন্তু সরকারি খাত, বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ আসবে। তাদের ভবিষ্যদ্বাণী, বিদ্যুৎ খাতে ২০১৯ সালে ২২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ আসতে পারে। আর জিডিপির সাপেক্ষে সরকারের ঋণের অনুপাত ৩০ শতাংশে উঠতে পারে।

জিইএফের প্রেসিডেন্ট এনায়েত করিম বলেন, এ বছর দেশে রপ্তানির বিপরীতে বিপুল পরিমাণ আমদানি হবে। তাই ব্যালান্স অব পেমেন্টের ঘাটতি থাকবে ১৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

জিইএফের বাংলাদেশ-বিষয়ক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া বলেন, এ বছর দারিদ্র্য হ্রাসে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করবে। সম্পদের সুষম বণ্টনের কারণে দারিদ্র্যের পরিমাণ দাঁড়াবে ২১ দশমিক ৮ শতাংশ।

জিইএফের বাংলাদেশ-বিষয়ক সেক্রেটারি জেনারেল মামুন-উর রশিদ বলেন, সৌদি আরবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাকরি যাওয়ার কারণে প্রবাসী আয় হয়তো বাড়বে না। তবে নতুন শ্রমবাজার পাওয়া যাবে এবং মজুরিও বাড়বে।

এদিকে কিছুদিন আগে ব্রিটিশ ম্যাগাজিন দ্য গার্ডিয়ান-এর ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সমীক্ষায় দেখা গেছে, এ বছর সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হবে যেসব দেশের, সেই তালিকায় বাংলাদেশ থাকবে দ্বিতীয় স্থানে। প্রথম স্থানে থাকবে সিরিয়া, যার প্রবৃদ্ধির সম্ভাব্য হার ৯ দশমিক ৯। আর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *