শিল্প ও বাণিজ্য

অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু: প্রধানমন্ত্রী

 নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: ফেনী নদীর উপর নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ শুধু দুই দেশের মধ্যে সেতুবন্ধই রচনা করবে না, বরং ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট অবদান রাখবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যৌথভাবে মৈত্রী সেতুর ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেবও বক্তব্য রাখেন।

ত্রিপুরাবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি মনে করি এই সেতু আমাদের দুই দেশের মাঝে শুধু সেতুবন্ধই রচনা করবে না বরং ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে। শুধু চট্টগ্রাম পোর্ট নয়, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও ত্রিপুরাবাসী ব্যবহার করতে পারবে।”

একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরার সহযোগিতার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা ভুলি নাই ১৯৭১ সালে কীভাবে আমার জনগণকে আপনারা আশ্রয় দিয়েছিলেন, সমর্থন দিয়েছিলেন, সহযোগিতা করেছিলেন এবং আমরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছিলাম। কাজেই আজকের দিনে আমি সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রী আপনাকেও আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।”

ভিডিও বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে সঙ্গে নিয়ে আজ মৈত্রী সেতু উদ্বোধন করা আমার জন্য অপার আনন্দের। এই ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটছে যখন আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উদযাপন করছি।”

এক দশমিক নয় কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু রামগড়ের সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরার সাবরুমকে যুক্ত করেছে। এই প্রথম কোনো নদী সেতু দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত যুক্ত হল।

ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরামসহ পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৬ জুন দুই প্রধানমন্ত্রী এ সেতুর ভিত্তিস্থাপন করেছিলেন।

১৩৩ কোটি রুপি ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করেছে ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড- এনএইচআইডিসিএল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *