ডেস্ক প্রতিবেদন, ধূমকেতু বাংলা: অবৈধ বাংলাদেশি শ্রমিকদের বৈধতা দেবে মালদ্বীপ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মালদ্বীপ সফরের দ্বিতীয় দিনে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সলিহ। এসময় পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে দু’দেশের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চালুর আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে সকালে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সলিহ ও প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। এ সময় দুটি সমঝোতা স্মারক ও একটি চুক্তিতে সই করে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ। তার আগে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে বর্ণাঢ্য কায়দায় অভ্যর্থনা জানানো হয় সরকারপ্রধান শেখ হাসিনাকে।
প্রথমবারের মতো মালদ্বীপ সফরের দ্বিতীয় দিন সকালে শেখ হাসিনা দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে পৌঁছালে সামরিক কায়দায় তাকে সালাম জানান প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের সদস্যরা। রীতি অনুযায়ী বাজানো হয় দুদেশের জাতীয় সংগীত। ছিল গান স্যালুটের আয়োজনও।
অভ্যর্থনা পর্বে উপস্থিত সাংস্কৃতিক কর্মীদের পরিবেশনা উপভোগ করেন ইব্রাহিম সলিহ ও শেখ হাসিনা। এরপর রাষ্ট্রপতি ভবনের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতা সারেন প্রধানমন্ত্রী। সূচির ধারাবাহিকতায় দুই শীর্ষ নেতা একান্ত বৈঠক করেন নিজেদের মধ্যে। পরে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে দুদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন প্রেসিডেন্ট সলিহ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ বৈঠকের পর প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত এবং যুব ও ক্রীড়া খাতের উন্নয়নের আলাদা দুটি সমঝোতা স্মারকে সইয়ের পর সেগুলো বিনিময় করেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা। এ সময়, দ্বৈত কর প্রত্যাহারের চুক্তিতেও সই করেছে ঢাকা-মালে।
এছাড়া এবারের সফরে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে ১৩টি সামরিক যান উপহার হিসেবেও তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে দুই শীর্ষ নেতা যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। এ সময় মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ দ্বৈত কর পরিহারের চুক্তি করলো