খেলাধুলা

অবশেষে বার্সেলোনার জয়, নাটকীয় লড়াইয়ে

অবশেষে বার্সেলোনার জয়, নাটকীয় লড়াইয়ে

অবশেষে বার্সেলোনার জয়, নাটকীয় লড়াইয়ে: দুর্দান্ত পারফরমেন্স দিয়ে শুরু করেও মুহূর্তের ভুলে সব হারাতে বসেছিল বার্সেলোনা। দুই গোল হজমের পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল এলচে। তবে শেষ দিকে দারুণ গোলে জয় তুলে নিল জাবি এরনান্দেসের দল।

কাম্প নউয়ে শনিবার লা লিগায় পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকের দল এলচেকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে কাতালান ক্লাবটি। সব মিলিয়ে তিন ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল বার্সেলোনা।

ফেররান হুতগ্লার গোলে তারা এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গাভি। দ্বিতীয়ার্ধে এক মিনিটের ব্যবধানে তেতে মরেন্তে ও পেরে মিইয়া গোল করলে আবারও পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা জাগে বার্সেলানার। তবে শেষ দিকে নিকোলাস গনসালেসের গোলে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।

হতাশার পথচলায় আরও একবার নতুন শুরুর খোঁজে নামা বার্সেলোনা এবার শুরুটা করে দারুণ। প্রথম ২০ মিনিটেই দুই গোলে এগিয়ে যায় তারা।

ষোড়শ মিনিটে উসমান দেম্বেলের কর্নারে লাফিয়ে নেওয়া হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন ফেররান হুতগ্লা। গত মঙ্গলবার প্রীতি ম্যাচ মারাদোনা কাপে বোকা জুনিয়র্সের বিপক্ষেও জালের দেখা পাওয়া স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডার এদিনই প্রথম লা লিগায় শুরুর একাদশে সুযোগ পান।

অবশেষে বার্সেলোনার জয়, নাটকীয় লড়াইয়ে

তিন মিনিট পর একক নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গাভি। কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকেই ডান পায়ের কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ১৭ বছর বয়সী মিডফিল্ডার।

২৪তম মিনিটে ওয়ান-অন-ওয়ানে উড়িয়ে মেরে দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন এলচের এনজো রোকো। তিন মিনিট পর হুতগ্লার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি সফরকারী গোলরক্ষক।

দ্বিতীয়ার্ধের একাদশ মিনিটে আবারও ভীতি ছড়ান হুতগ্লা। এবারও তার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক এদগার বাদিয়া। এর কিছুক্ষণ পরই বার্সেলোনাকে হতভম্ব করে দেয় এলচে।
মুহূর্তেই দিক হারিয়ে বসা স্বাগতিকরা পরপর দুই মিনিটে দুই গোল খেয়ে বসে।

৬২তম মিনিটে ডি-বক্সে ঢুকে ডান পায়ের বুলেট গতির শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মরেন্তো। বল নাগালের মধ্যে থাকলেও হাত বাড়ানোর সময়ই পাননি মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। পরের মিনিটে ডান দিকের বাইলাইন থেকে দূরের পোস্টে দারুণ ক্রস বাড়ান প্রথম গোলদাতা। ফাঁকায় বল পেয়ে বিনা বাধায় হেডে স্কোরলাইন ২-২ করেন পেরে মিইয়া।

এলচের দ্বিতীয় গোলে বার্সেলোনার রক্ষণের যে দুর্বলতা ফুটে ওঠে, তা ভীষণ দৃষ্টিকটু। ডি-ডি-বক্সে প্রতিপক্ষের ফরোয়ার্ডকে মার্ক করা দূরের কথা, তার আশেপাশেও কেউ ছিল না!
৭২তম মিনিটে হুতগ্লাকে তুলে গনসালেসকে নামান কোচ শাভি। ২৩ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইনই এনে দেন জয়সূচক গোল। ডি-বক্সে গাভির পাস ধরে জোরালো শটে দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান তিনি।

ছয় ড্রয়ে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে উঠেছে তারা। লিগে ১৭ ম্যাচে বার্সেলোনার এটি সপ্তম জয়।

সমান ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। ১৮ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ১৬ নম্বরে এলচে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *