নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচণ্ডী ইউনিয়নের বাফলার বিলে এখন হাজার হাজার পরিযায়ী (অতিথি) পাখি এসেছে।

শীতকালে প্রতিদিন সকালে ঝাঁকে ঝাঁকে বালিহাঁস এসে বাফলার বিলে পড়ে। দিনভর দলবেঁধে খাদ্য সংগ্রহ করে সন্ধ্যায় পাশের গাছপালায় আশ্রয় নেয়। শব্দ পেলে আকাশে চক্কর দিয়ে বিলের এক পাশ থেকে আরেক পাশ যায়। রঙিন ডানা মেলা এসব অতিথি পাখির ওড়াউড়ি ও জলকেলিতে মুখরিত হয় জলাশয়। পাখির মিতালি ও সুরেলা কণ্ঠ যেন বাফলার বিলকে নতুন রূপ দেয়।

জানা যায়, বিলের জলাশয় পাখির অভয়ারণ্য মনে হলেও শিকারিদের গুলির ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রভাবশালী পাখি শিকারিদের বন্ধুকের নলা স্থানীয়দের বাধা গ্রাহ্য করছে না। প্রশাসনের নীরবতায় অতিথি পাখি শিকারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

ওই বিলসংলগ্ন উত্তর বাফলা গ্রামের বাচ্ছা মিয়ার স্ত্রী মায়া বেগম জানান, রোববার সন্ধ্যার আগে মাইক্রোবাসে একদল লোক বন্দুক দিয়ে বিলের পাখি শিকার করতে আসেন। তাদের পাখি মারতে নিষেধ করছি, কিন্তু ওরা আমাদের কথা শোনে না। তারা বন্দুক দিয়ে গুলি করে পাঁচটি পাখি শিকার করেছে। গুলিতে আহত দুটি বালিহাঁস বিলের ধারে মরে ছিল, রাতে কুকুর-শিয়াল খেয়েছে।

বাফলার বিলের একাংশে মৎস্য খামারের মালিক হাফিজ উদ্দিন স্বপন জানান, দুদিন আগে একজন জনপ্রতিনিধি বন্দুক দিয়ে সাতটি বালিহাঁস শিকার করেছে। দেখার পরও কেউ বাধা দেওয়ার সাহস পায়নি। মৎস্য খামারের তত্ত্বাবধায়কের কাছে শুনে খুবেই কষ্ট পেয়েছি। শিকারিদের বাধা দেওয়ার জন্য তাকে বলেছি। প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণে শিকারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

রণচণ্ডী ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান (বিমান) জানান, বাফলার বিলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির বিচরণ রয়েছে, যা অন্য কোথাও নেই। শিকারিদের কবল থেকে অতিথি পাখি রক্ষার জন্য জনসচেতনতাসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নবীরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে বন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

আরো পড়ুন:

বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানরকে চিকিৎসা শেষে অবমুক্ত করা হয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *