ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: অস্ট্রেলিয়ায় ফের দূত পাঠাচ্ছে প্যারিস। ফ্রান্স বলছে, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতেই রাষ্ট্রদূত পাঠানো হচ্ছে।
গত মাসে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র অকাস নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করে। পারমাণবিক শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ তৈরির জন্য অস্ট্রেলিয়া অকাস চুক্তিতে সই করার পর প্যারিস ক্ষুব্ধ হয়। কারণ এই চুক্তির কারণে ফ্রান্সের সঙ্গে একটি বড় ডুবোজাহাজ ক্রয়চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে দেশটি।
ওই চুক্তি বাতিলকে ‘পেছন থেকে ছুরিকাঘাত’ বলে আখ্যা দেয় ফ্রান্স। এর প্রতিবাদে ওয়াশিংটন ও ক্যানবেরা থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেয় প্যারিস।
তবে সম্প্রতি ওয়াশিংটনে দূত ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় প্যারিস। তারপরও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক শীতল থেকে যায়। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জানান, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তার সঙ্গে ফোনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
বুধবার ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেন-ইয়েভস লা দ্রিয়ান বলেন, তার দেশ অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক শুরু করতে চায়।
তিনি বলেন, এতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় সম্পৃক্ত থাকতে আমাদের প্রতিশ্রুতির ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না।
অকাস চুক্তির মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ মালিক হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এটা হলে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের সপ্তম দেশ হিসেবে এই ডুবোজাহাজের মালিক হবে। চুক্তির আওতায় মিত্ররা সাইবার সক্ষমতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য গভীর সমুদ্রে ব্যবহৃত অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করবে।
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার এই নতুন উদ্যোগে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হয়েছে প্যারিস। কারণ তারা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই চুক্তির ফলে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে তাদের পূর্ব-স্বাক্ষরিত বহু কোটি ডলারের একটি সমঝোতার অবসান ঘটেছে।
২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যে ৩,৭০০ কোটি ডলার মূল্যের সেই চুক্তি সই হয়েছিল, যার আওতায় অস্ট্রেলিয়ার জন্য ১২টি সাবমেরিন নির্মাণ করার কথা ছিল।
আরো পড়ুন:
আন্তর্জাতিক মঞ্চে ব্লকের ভূমিকা নিয়ে ইইউ নেতৃবৃন্দের কৌশলগত আলোচনা